নয়াদিল্লি: উত্তপ্ত উত্তরপূর্ব দিল্লি নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ীর সামনে সমবেত হয়েছে জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (এএজেএমআই) ও জামিয়া সমন্বয় কমিটির (জেসিসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
বুধবার মধ্যরাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ীর সামনে সমবেত হয় ছাত্রছাত্রীরা। রাত ৩:৩০ মিনিটে পুলিশকে দেখা যায় তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে। ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ ভাঙ্গার জন্য পুলিশকে জলের কামান ব্যবহার করতে হয়েছে।
ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায়। রাজধানীতে সহিংসতার দাবিতে একটি সনদ জমা দেবে বলে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে যে পুলিশ তাঁদের আটক করে কাছের থানায় নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা যারা নিজেদেরকে সংশ্লিষ্ট নাগরিক বলে অভিহিত করেছেন, তাঁরা কেজরিওয়ালকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে হিংসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে স্থানীয় বিধায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিতে যেতে এবং উত্তেজনা থামানোর জন্য শান্তি মিছিল করারও আর্জি জানিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লি সরকার গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে নাগরিকদের অবহিত করার কথাও বলেছেন তাঁরা। ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলি থেকে সমস্ত আহতদের যথাসময় যাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা সহিংসতার দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও করেছে।
মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে, উত্তর পূর্ব দিল্লির উত্তপ্ত অঞ্চলগুলির বিধায়ক এবং কর্মকর্তাদের একটি জরুরি সভা ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে উত্তরপূর্ব দিল্লিতের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০। যার মধ্যে একজন শিশু এবং একজন পুলিসকর্মী রয়েছেন।