কলকাতা: কলকাতার আরজিকরের ঘটনার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে তিন বছরের শিশুকে স্কুলে যৌন নির্যাতন নিয়ে ঝড় উঠেছে। থানের বদলাপুরে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দুই শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে এবার সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কলকাতার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এবং তৃণমূলের প্রধান ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছে । সেই সময়েই বদলাপুরে দুই কিন্ডারগার্টেনের দুই ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ফআইআর দায়ের করতে মহারাষ্ট্র পুলিশ বিলম্ব করল কেন তাই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সঙ্গেই মহারাষ্ট্র বিজেপি সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র বদলাপুরের ঘটনা নিয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রতিক্রিয়া এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একজন মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ-হত্যার বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কীভাবে কাজ করেছিল তার মধ্যে তুলনা করেছেন। তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, বদলাপুর মামলায় যেখানে মহারাষ্ট্র পুলিশ কয়েকদিন ধরে এফআইআর নথিভুক্ত করতে “অস্বীকার করে” সেখানে কলকাতা পুলিশ আরজি কর ধর্ষণকরে চিকিৎসক খুনের কয়েক ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতারনিরব করে”। এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া মৈত্র লিখেছেন, “আরজি কর মামলায় ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে এবং কলকাতা পুলিশ কয়েক ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। মহারাষ্ট্রে, পুলিশ কয়েকদিন ধরে এফআইআর দায়ের করতে অস্বীকার করেছে। এটিই আসল অগণতান্ত্রিক জোট।”
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে একজন সাফাই কর্মী স্কুলের ভিতরে তিন এবং চার বছর বয়সী দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করে। সেই ঘটনা নিয়েই ওই অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেছে এবং লকাল ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত করেছে। পাথর নিক্ষেপ করা হলে বিক্ষোভটি পরে হিংসাত্মক রূপ নেয় এবং পুলিশ তাদের রেলপথ থেকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। বদলাপুরে বন্ধ করা হয়েছিলয ইন্টারনেট পরিষেবা। যদিও তা পরে পুনরুদ্ধার করা হয়। তবে শহরে উত্তেজনা অব্যাহত ছিল। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (NCPR) জানিয়েছে যে তারা এই মামলার তদন্তের জন্য বদলাপুরে একটি দল পাঠাবে।