বেঙ্গালুরু: হেমন্ত সোরেনের পর জমি দুর্নীতিতে নাম জড়াল আরও এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন রাজ্যপাল। জমি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah)
জানা গিয়েছে, মাইসুরু আর্বান ডেভেলপমেন্ট অথারিটির অধীনে জমি বরাদ্দ করা নিয়ে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে । আজ শনিবার রাজ্যপাল থাওয়ারচন্দ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই তদন্তে সম্মতি জানিয়েছেন। প্রদীপ কুমার, টিজে আব্রাহাম এবং স্নেহাময়ী কৃষ্ণ – তিনজন কর্মীর আবেদনের পরে রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট MUDA জমি কেলেঙ্কারির মামলায় সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচারের অনুমোদন দিয়েছেন। রাজ্যপালের সেক্রোটারিয়েটের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৮৮-র ১৭ ধারা এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ২১৮ ধারার অধীনে রাজ্যপাল সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমতি দিয়েছেন। রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে নেতাকর্মীদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, “রাজ্যপালের নির্দেশ অনুসারে, আমি এখানে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৯৮-এর ধারা ১৭ এবং ২১৮-এর ধারার অধীনে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচারের অনুমোদনের অনুরোধের বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অনুলিপি সংযুক্ত করছি। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩ কথিত অপরাধের কমিশনের জন্য পিটিশনগুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (সিএমও) নিশ্চিত করেছে যে তারা এই খবর পেয়েছে। সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচারের নির্দেশ নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। জ্য বিজেপির প্রধান বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র একটি অনলাইন পোস্টে বলেছেন, “কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে এবং মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়দের পক্ষপাতিত্ব ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত নথি এবং প্রমাণ রেখে সিদ্দারামাইয়া প্রমাণ করেছেন যে তাকে নড়িয়ে দেওয়ার মত কেউ নেই।” অন্যদিকে কর্ণাটক কংগ্রেস অভিযোগ করেছে রাজ্যপাল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী শশিকলা জোলে এবং মুরুগেশ নিরানির বিরুদ্ধে তদন্তে দেরি করছেন। তারা জানিয়েছে, “তবে রাজ্যপাল যে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্বেগজনক গতির সাথে কাজ করেছেন তা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে।”