ভোপাল: পোশাক দেখে হামলাকারীদের ধর্ম বুঝে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার খাদ্যাভ্যাস দেখে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করার উপায় বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রের আনা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংসদের দুই কক্ষে ওই বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পরে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরে তা আইনের রূপ নিতে বেশি সময় নেয়নি। এরপরেই দেশ জুড়ে শুরু হয়ে যায় নতুন আইন বিরোধী আন্দোলন। হিংসাত্মক আন্দোলন দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায়। সেই সময়ে হামলাকারীদের পশাক দেখে তাদের ধর্ম চিহ্নিত করেছিলন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশের প্রশাসনিক প্রধানের সেই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জারি রয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন। যদিও আন্দোলনের চেহারা এখন আর হিংসাত্মক নয়।
এই অবস্থায় অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে নতুন পন্থার কথা জানা গেল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গলায়। তিনি জানিয়েছেন যে খাওয়া দেখে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা যায় এবং তিনি নিজে তা করেছেন। কারণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা চিঁড়ে খায়। এই বিষয়টি তিনি বুঝতে পেরেছেন নিজের বাড়ি মেরামতের কাজ করাতে গিয়ে। বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন যে তাঁর বাড়তে কয়েকদিন আগে কিছু রাজমিস্ত্রী কাজ করেছিল। যাদের খাদ্যাভ্যাস দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। কারণ সেই মিস্ত্রীরা চিঁড়ে খাচ্ছিল।
সন্দেহ জাগায় ঠিকাদারের থেকে ওই সকল মিস্ত্রীদের বিষয়ে খোঁজখবর করেন বিজেপি নেতা কৈলাস। তখনই তিনি জানতে পারেন যে ওই সকল মিস্ত্রিরা বাংলাদেশের নাগরিক। এর দিন দুই পরে কাজ বন্ধ করে দেয় ওই রাজমিস্ত্রীরা। বিজয়বর্গীয় নিশ্চিত যে ওই সকল মিস্ত্রী আসলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। যদিও এই বিষয়ে এখনও পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি জাতীয় স্তরের ওই বিজেপি নেতা।