
খাস ডেস্ক: চরম আর্থিক অচলাবস্থার মাঝে সম্প্রতি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের সমস্যাগুলি মেটানোর সর্বতভাবে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এবার ব্রিটেনের অভিবাসন কমানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন সুনন বলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, অভিবাসন কমাতে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের আগমনও কমিয়ে দিতে পারেন সুনক। ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্রের বয়ানে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাক্ষেত্রে “নিন্মমানের” ডিগ্রি গ্রহণের পর দফতরগুলিতে কাজ করতে যাওয়া বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের আগমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
আরও পড়ুন- “উনি প্রচারে আসা মানেই তৃণমূলের লাভ”, কেন এই কথা বললেন ব্রাত্য
যদিও “নিন্মমানের” ডিগ্রি বলতে ঠিক কি বলতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি মুখপাত্র। জাতীয় সংখ্যাত্বত্ত্ব অনুযায়ী, এক বছরে ব্রিটেনে অভিবাসনের সংখ্যা উল্লেখজগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে যেখানে ব্রিটেনের মত অভিবাসন ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৭৩ হাজার, চলতি বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ৪ হাজার। এই তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে ব্রিটেনে মত অভিবাসন বেড়েছে প্রায় ৩ লখ ৩১ হাজার। আর এই সংখ্যাবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার সুনকের (Rishi Sunak) মুখপাত্র বলেন, “ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী যেভাবেই হোক এই সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছেন”। তবে অভিবাসনের সংখ্যা মাথায় রেখে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের আগমন আটকানোর কাজটি সহজ হবে না।
আরও পড়ুন- ‘পশ্চিমবঙ্গের সমাজই সুরক্ষিত নেই আর সংবিধান’, দিল্লি যাওয়া পথে বিস্ফোরক দিলীপ
কেননা, বিদেশী পড়ুয়াদের ফিজের উপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনেকাংশে ভরসা করতে হয়। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পড়ুয়াদের কাছ থেকে অত বেশি টাকা চাইতে পারে না তারা। ফলে আচমকা বিদেশী পড়ুয়াদের আগমনের উপর কড়াকড়ি জারি হলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বিদেশী পড়ুয়াদের দেশের অভিবাসন তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য শুক্রবার সুনক (Rishi Sunak) সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের একটি সংগঠন। ন্যাশানাল ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টস অ্যান্ড আলুমনাই ইউনিয়নের সনম আরোরা বলেন, “ব্রিটেনে যেসব ছাত্রছাত্রীরা অস্থায়ীভাবে রয়েছেন, তাঁদের অভিবাসী হিসেবে গণ্য করা উচিৎ নয়। ব্রিটিশ অর্থনীতিতে ভারতীয় পড়ুয়ারা GBP 30 বিলিয়ন অর্থ প্রদান করে”।