নয়াদিল্লি: একে প্রতিকূল পরিবেশ, তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৫৫ ডিগ্রিতে৷ তার উপর রয়েছে পোশাক ও খাবারের অভাব৷ দুইয়ে মিলে সিয়াচেন, লাদাখ এবং ডোকলামে পোস্টিং নেওয়া জওয়ানদের অবস্থা তথৈবচ৷
না আছে পর্যাপ্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম না খাবার৷ নেই পর্যাপ্ত শীতের পোশাক, স্নো গগলস, মাল্টি পারপাস বুট, স্লিপিং ব্যাগ৷ সিয়াচেনের মতো উঁচু যুদ্ধক্ষেত্রগুলিতে এগুলি অতি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম৷ এগুলির অভাবে সিয়াচেনের মতো জায়গায় বেঁচে থাকা দুঃসাধ্য৷
ভারতীয় সেনার এই দুরাবস্থার ছবি ধরা পড়েছে ক্যাগ রিপোর্টে৷ ৩ ফেব্রুয়ারি এই রিপোর্ট সংসদে জমা পড়ে৷ সিয়াচেন, লাদাখ এবং ডোকলামে পোস্টিং ভারতীয় সেনার প্রকৃত অবস্থার ছবি উঠে এসেছে ২০১৭-১৮ সালের ক্যাগের রিপোর্টে৷ সেখানে বলা হয়েছে, আধুনিকীকরণের ছোঁয়া পৌঁছয়নি উচু যুদ্ধক্ষেত্রগুলিতে কর্মরত জওয়ানদের কাছে৷ পুরনো সরঞ্জাম দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে তাদের৷ এছাড়া রয়েছে সময়মতো যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনার মতো বিষয়টিও৷ বরাত দেওয়ার পরেও সেই সরঞ্জাম আসতে অনেক সময় লাগছে৷ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকে জিনিস আসছে দেরিতে৷ ফলে বাধ্য হয়ে সেই পুরনো জিনিসের ব্যবহার করতে হচ্ছে জওয়ানদের৷
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেশন সমস্যা৷ ক্যাগ রিপোর্ট বলছে, উচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে কর্মরত জওয়ানদের খাবার অন্যরকম হওয়া উচিত৷ কিন্তু সেখানেও অভাব দেখা দিচ্ছে৷ যতটা ক্যালোরিযুক্ত খাবার একজন জওয়ানের পাওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক কম ক্যালোরি পাচ্ছেন তারা৷ এতে কর্মদক্ষতা হারাচ্ছেন জওয়ানরা৷
এই নিয়ে ক্যাগ রিপোর্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বক্তব্য তুলে ধরেছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, সেনার সদর দফতরে প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম রয়েছে৷ ধীরে ধীরে অভাব মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ তাছাড়া ক্যাগ রিপোর্টে ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ সালের সময়কালকে ধরা হয়েছে৷ কিন্তু তারপর প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন হয়েছে৷ পোশাক বা অন্যান্য সরঞ্জামের ক্ষেত্রে যেসব অভাব ছিল তা অনেকটাই মেটানো হয়েছে৷ সিয়াচেনের মতো জায়গায় একজন জওয়ানের পোশাকের জন্য একলক্ষ টাকা খরচ হয়৷ পোশাক থেকে শুরু করে সরঞ্জামের আধুনিকীকরণের চেষ্টা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চেষ্টা করছে৷ আগে এই সব জিনিস আমদানি করা হত৷ এখন দেশেই এগুলি তৈরির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে৷ এতে খরচ অনেকটাই কমে৷