
নিউ দিল্লি : বিদেশের বাজারে ক্রমশ বাড়ছে দেশে উৎপাদিত চিনির (sugar) চাহিদা। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চলতি বছরের মে মাসে চিনি রফতানি নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র। সম্প্রতি সেই মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। এখন চিনি ব্যবসায়ীদের আশা বিদেশের মাটিতে ভারতের চিনির চাহিদা বেড়ে চলায় সেই নিয়ন্ত্রণের রাশ হালকা করবে সরকার।
আরও পড়ুন : রেশনে মিলছে ‘প্লাস্টিকের চাল’, অভিযোগ গ্রাহকদের
ভারতের পাশাপাশি ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, মেক্সকো সহ ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলি বিদেশে চিনি রফতানি করে থাকে। বিশ্বে সব থেকে বেশি চিনি (sugar) রফতানি করে ব্রাজিল। এবার সেই ব্রাজিলেই চিনি কম উৎপাদন হওয়ায় বিশ্ব বাজারে চিনির জোগান কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ফলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তার ধাক্কা যাতে দেশের বাজারে না পড়ে, তার জন্য গত ১ জুন থেকে ১ কোটি টন চিনি রফতানির ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এর পর সেই সময়সীমা আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয় গত অক্টোবরে। সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে ৯৪ লক্ষ টন চিনি রফতানি করেছে ভারত। শুধু ২০২১ সালে রফতানির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১২ লক্ষ টন। নিয়ন্ত্রণ চালু না হলে চলতি অর্থবর্ষে তা আরও অনেক বাড়ার সম্ভাবনা ছিল।
আরও পড়ুন :KMDA-কে সরিয়ে EM Bypass-র দায়িত্ব এখন কলকাতা পুরসভার হাতে
আরও পড়ুন :অভিষেককে শান্তিকুঞ্জে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ, শোরগোল রাজনৈতিক মহলে
প্রসঙ্গত চিনির (sugar) পাশাপাশি দেখা গেছে বিদেশের মাটিতে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য রফতানি কমেছে। দু’বছর পরে গত অক্টোবরে ফের সরাসরি কমে যায় তার পরিমাণ। অথচ বেড়েছে আমদানির অঙ্ক। ফলে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়ে দেশ। এর আগে ২০২০-র নভেম্বরে শেষ বার রফতানি বাণিজ্য সঙ্কুচিত হয় (৮.৭৪%)। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মাসে ভারতের রফতানি ১৬.৬৫% কমে হয়েছে ২৯৭৮ কোটি ডলার। বিশ্ব বাজারে চাহিদা শ্লথ হওয়াই যার প্রধান কারণ। অথচ মূলত অশোধিত তেল এবং তুলো, সার ও যন্ত্রাংশের কারণে আমদানি ৬% বেড়ে হয়েছে ৫৬৬৯ কোটি। যা বাণিজ্য ঘাটতিকে ঠেলে তুলেছে ২৬৯১ কোটি ডলারে।