নয়াদিল্লি: আরজিকরের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই অভিযান ঘিরেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় কলকাতা, হাওড়া জুড়ে। আন্দোলনকারীদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই উত্তাপ বাড়ে। বাংলার এই পরিস্থিতি নিয়ে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda )। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করেছেন।
জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “যেসব সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক নীতিকে মূল্য দেন, কলকাতায় পুলিশের স্বেচ্ছাসারিতার এই ছবি তাঁদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।” পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “দিদির বাংলায় ধর্ষক ও অপরাধীদের সাহায্য করলে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে আওয়াজ তুললে তা অপরাধ।”
The images of police highhandedness from Kolkata have angered every person who values democratic principles.
In Didi’s West Bengal, to help rapists and criminals is valued but it’s a crime to speak for women’s safety.
— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) August 27, 2024
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পুলিশ-মিছিলকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের শেল। হাওড়া ব্রিজে সহ কলকাতা জুড়ে একই ঘটনা দেখা যায়। এই আবহেই এবার বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গেই দাবি করেছেন নির্বাচনেরও। এদিনের ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আমি অনুরোধ করছি। বাকিটা আমরা দেখছি। আমরা মমতার পদত্যাগ চাই। এই আন্দোলন একদিনের নয়। কর্মসূচি আরও হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগে বাধ্য করব। এবং পশ্চিম বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হোক আমরা চাইব।” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে বিজেপি আগামীকাল বুধবার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে।