শ্রীনগর: শ্রীনগরের লাল চকের আইকনিক ক্লক টাওয়ারে প্রজাতন্ত্র দিবস বা স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন নিয়ে ঝড়েছে রক্ত। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত কখনোও করা যায়নি পতাকা উত্তোলন। তবে স্বাধীনতার পর এই প্রথম ২০২২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে শ্রীনগরের ঐতিহাসিক লাল চকের ক্লক টাওয়ারে উড়ল জাতীয় পতাকা।
চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দুই কর্মী সাজিদ ইউসুফ শাহ এবং সাহিল বশির ভাট পতাকাটি উত্তোলন করেছিলেন। পূর্বে, ঐতিহাসিক স্থানটিতে ২৬শে জানুয়ারী পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এমনকি ১৪৪ ধারাও আরোপ করা হয়েছে। প্রশাসন এই এলাকার সংবেদনশীলতা উল্লেখ করে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরেও শ্রীনগরের লাল চকে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছিল। তবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন ওই দুই নেতাকর্মী।
বুধবার প্রজাতন্ত্র দিবস(Republic Day 2022) উপলক্ষ্যে লালচক ও ক্লক টাওয়ার (ঘণ্টাঘর) সংলগ্ন এলাকাকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়িয়ে দেওয়া হয়। কড়া নিরাপত্তা বেষ্ঠনির মধ্যেই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের লোক,এনজিও ব্যক্তি ও এলাকার কিছু বাসিন্দা। শ্রীনগরের লাল চকে জাতীয় পতাকা উত্তলের সময় উপস্থিত সমাজকর্মী সাজিদ ইউসুফ শাহ বলেছেন, “সমস্ত কৃতিত্ব সেই লোকদের যারা ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন। এটি আমাদের লাল চকে পতাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, আমরা অনুভব করছি যে আমরা ভারতে আছি।”
সাজিদ ইউসুফ শাহের সঙ্গে থাকা আরেকজন কর্মী সাহিল বশির ভাট বলেছেন, “যখন আপনি ইতিহাস বদলানোর চেষ্টা করছেন তখন আবেগ খুব বেশি হয়। আগে পাকিস্তানের দোস্তরা এখানে আসত এবং লাল চকের ক্লক টাওয়ারের উপরে পাকিস্তানি পতাকা প্রদর্শন করত। এবং এটা ১৫ দিন পর্যন্ত নামত না। আজ, আমরা দুজন কাল আমারা ২০,২০০হবে।” দুই সমাজকর্মী সাজিদ ইউসুফ শা ও সাহিল বসিরকে ক্রেনে চড়িয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় ক্লক টাওয়ারের উপরে। জাতীয় পতাকা তাঁরাই ক্লক টাওয়ারের মাথায় টাঙিয়ে দেন।