খাসডেস্ক: সনজোলি মসজিদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল সিমলায়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। আচমকা বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়। ঢালি টানেলে ঢুকে পড়ে। বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে সনজোলি মসজিদ (SANJAULI MOSQUE)। বুধবার বেআইনিভাবে মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করে প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফে। সিমলার ঢালি টানেলের কাছে বিশাল পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল আগে থেকেই। প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে প্রস্তুত ছিল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: খাইয়ে দিতেন মৌমাকে, আমেরিকাতেও অলিম্পিয়ান তৈরি করেছিলেন ‘দ্রোণাচার্য’ জয়ন্ত পুশিলাল
গত মঙ্গলবারই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন চৌরা ময়দানে প্রতিবাদ দেখিয়ে ছিল। মসজিদটি বেআইনিভাবে নির্মিত কিনা তা আপাতত বিচারাধীন বিষয়। বেআইনি হলে অবশ্যই সরকারের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সেটি ভেঙে দেওয়া হবে। জানিয়ে ছিলেন এক সরকারি কর্তা। সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলবার সকালেই পুলিশের তরফে জানানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ার উপরও নজর রাখা হচ্ছে। সনজোলি মসজিদের (SANJAULI MOSQUE) বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালিন কোনপ্রকার গুজব ছড়ানো আটকাতেই এই নজরদারি। কেউ অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছড়ানো গুজবে এলাকার শান্তি নষ্ট হতে পারে। এমন আশঙ্কা করে সিমলাবাসীর কাছে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আলোচনায় বসতে ‘রাজি’ জুনিয়র চিকিৎসকরা পাল্টা শর্ত দিলেন
এসপি সঞ্জীব কুমার জানিয়ে ছিলেন ড্রোনের মাঝ্যমে সনজোলি মসজিদের (SANJAULI MOSQUE) এলাকার উপর নজর রাখা হচ্ছে। কেউ আইন-শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হিমাচলের মানুষ সাধারণত শান্তিপ্রিয়। মানুষ জমায়েত হলেও শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে আশার কথা জানিয়ে ছিলেন পুলিশ সুপার। বিক্ষোভের আগের রাতে অর্থাৎ মঙ্গলবার পুলিশ ফোর্স সনজোলি চক থেকে ঢালি টানেল পর্যন্ত একটি পিস মার্চ করে।