
শ্রীনগর: শনিবার কাশ্মীরে ফের টার্গেট কিলিং-এর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পণ্ডিত খুনের ঘটনায় কাশ্মীরী পণ্ডিতদের মধ্যে নতুন করেছে বিস্তার হয়েছেন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ভয়। শনিবার নিজের বাড়ির সামনেই কাশ্মীরি পণ্ডিত পুরন কৃষাণ ভাটের হত্যা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সেই খুনের ঘটনার পরেই নিহত ব্যক্তির বোন জানিয়েছেন কাশ্মীরী পণ্ডিতরা নিরাপদ নয় একেবারেই।
শনিবার পুরন কৃষাণকে খুনের কয়েক ঘন্টা পরে সন্ত্রাসী সংগঠন কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। এমনকি এই ধরনের আরও আরও খুনের ইঙ্গিতও দিয়েছে। রবিবার, দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলা থেকে তার মৃতদেহ আনার পরে ৫৬ বছর বয়সী পণ্ডিতের পরিবার জম্মুতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। কাশ্মীরি পণ্ডিত পুরন কৃষাণ ভাটের বোন নীলম বলেন, “কাশ্মীর উপত্যকায় হিন্দুরা নিরাপদ নয়। এমনকি আমাদের মুসলিম প্রতিবেশীরাও বলে যে তারা আমাদের রক্ষা করতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা এলাকায় হিন্দুদের হত্যার সুযোগ খুঁজছিল। নীলমের কথায়, “কিছু সপ্তাহ আগে, সন্ত্রাসীরা একটি স্কুলে ঢুকে পড়ে, তারা সেখানে তিনজন হিন্দু শিক্ষককে খুঁজছিল। সৌভাগ্যবশত, হিন্দু শিক্ষকরা প্রাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন না। আমি সমস্ত হিন্দুদের উপত্যকা ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। সন্ত্রাসবাদীরা সমস্ত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা করবে।”
আরও পড়ুন- জেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মদ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের উপমুখ্যমন্ত্রীকে তলব করল CBI
নিহত পণ্ডিতের বোন বলেছেন, “আমরা তাকে উপত্যকা থেকে পালাতে বলেছিলাম, কিন্তু সে বলেছিল যে তাঁকে আপেল বিক্রি করে তাঁর বাচ্চাদের শিক্ষার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে।” অন্যদিকে পরিবারের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “আমি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। পুরান ভাটের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়া উচিত।” নিহত পণ্ডিতের স্ত্রী সহ দুটি সন্তান রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। আপেল বানাগে যাওয়ার সময়েই জঙ্গিরা তাঁকে খুন করে।