নয়াদিল্লি: বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হলে কি হবে রাজনীতে বরাবরই সক্রিয় তিনি। চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রথম বার লড়াই করেই জয়ী হয়েছেন। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে কঙ্গনা রানাওয়াতকে নিয়ে। তিনি বরাবই বিজেপির হয়ে সুর চড়িয়েছেন। এবার সংসদ থেকেই কঙ্গনা রানাওয়াত রাহুল গান্ধীকে নিয়ে করেছেন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য। “রাহুল গান্ধী ড্রাগস নেন” মঙ্গলবার সংসদে এই মন্তব্য করেন বিজেপি নেত্রী। যা নিয়েই উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
হিমাচল প্রদেশের মান্ডি কেন্দ্রের সাংসদে সংসদে দাঁড়িয়ে বাকি সাংসদের সামনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে বলেন, ‘রাহুল গান্ধী যে অবস্থায় সংসদে পৌঁছান এবং তিনি যে ধরণের যুক্তি দেন তা দেখে মনে হয় রাহুল গান্ধী ড্রাগস নেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হওয়া উচিত।’ সর্বদা অভিনেত্রী-সাংসদ আরও বলেন, “এই দেশ গণতন্ত্রের দেশ। যেখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এখানে পুরুষ, মহিলা, জাতি, ধর্মের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী বাছাই হয় না। এই ধরনের মন্তব্য দেশের গণতন্ত্রের জন্য অপমানজনক। উনি প্রতিদিন গণতন্ত্রকে অপমান করে চলেছেন। গতকালও সংসদে কমেডি শো হয়েছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিওটি। রাজনৈতিক মহলে বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরে কম চর্চা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী যিনি বর্তমানে বিরোধীদলনেতা হয়েছেন তিনি সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত থেকে উল্লেখ করে পদ্মের প্রতীক, ভয়ের একটি ‘চক্রব্যূহ’ দিয়ে ভারতকে আটকানোর জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “আজ ২১ শতকের একটি পদ্মের আকৃতির চক্রব্যূহ ভারতকে আটকাচ্ছে এবং ছয়টি ব্যক্তিত্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত: নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, আদানি, আম্বানি, অজিত ডোভাল এবং মোহন ভাগবত।” এই প্রসঙ্গেই কঙ্গনা রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেন, ” উনি কী বলছিলেন? ‘শিব কী বারাত’, ‘চক্রব্যুহ’! আমার মনে হয় উনি ড্রাগস (মাদক) নেন। ওনার শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত। যেভাবে উনি সংসদে এই সব বক্তব্য বলে চলেছেন তাতে মনে হয় উনি মদ কিংবা ড্রাগসের নেশায় রয়েছেন। গতকাল ওনার আজগুবি মন্তব্য শুনে আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। কোনও মানুষ সুস্থ অবস্থায় এই ধরনের বক্তব্য পেশ করতে পারেন না সংসদে। হয় তিনি মাতাল অথবা মাদকের প্রভাবে আছেন।” এখানেই শেষ নয়, ১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনার সময়, কঙ্গনা রাহুল গান্ধীর বক্তৃতাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে বর্ণনা করেছিলেন।