খাস ডেস্ক: কেরলের বাম সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হল কেরল হাইকোর্টে। আদালত সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সরকার মালায়ালাম সিনেমা শিল্পে যৌন নিগ্রহের যে ঘটনা ঘটেছে সেসম্পর্কে গঠিত হেমা কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ। এদিন কেরল হাইকোর্ট এজন্য রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছে।
যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলো সম্পর্কে ২০১৯ সালে হেমা কমিটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে চার বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও কেন রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করল না, এব্যাপারে পিনারাই বিজয়ন পরিচালিত সরকারের সমালোচনা করেছে কেরল হাইকোর্ট। কেন কেরলের বাম পরিচালিত সরকার নারীর প্রতি যৌন হেনস্থার ঘটনা সম্পর্কে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি কেরল হাইকোর্ট এই প্রশ্ন তোলায় কেরলের বাম সরকার কার্যত ব্যাকফুটে।
সারা দেশে নাবালিকা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা এমনকি বৃদ্ধারা পর্যন্ত যৌন নিগ্রহ তথা ধর্ষণের শিকার। কেরলও এর ব্যতিক্রম নয়। বাম সরকারের নারী নিরাপত্তায় এই উদাসীনতা থেকে এও স্পষ্ট যে নারী সুরক্ষায় ভারতজুড়ে ক্ষমতাসীন ডান-বাম সব রাজনৈতিক দলই উদাসীন।
এদিন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি একে জয়শঙ্করন নাম্বিয়ার এবং সিএস সুধা কেরলজুড়ে এবং মালায়ালাম সিনেনা শিল্পে যৌন নিগ্রহের যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেসম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দুই বিচারপতির বেঞ্চের রাজ্য সরকারের প্রতি প্রশ্ন, সমাজে মহিলারা যে সমস্যার শিকার তা রুখতে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? সমাজে মহিলাদের উপর যে অনভিপ্রেত বিধিনিষেধ চাপানো হচ্ছে তা ঐতিহাসিক। কখনও জেনেবুঝে, কখনও না জেনে এই বিধিনিষেধগুলো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের উপর। এই মানসিকতা পরিবর্তনের একমাত্র পথ নাগরিকদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন।