গান্ধীনগর: তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ গুজরাতের লড়াকু নেতা হার্দিক প্যাটেল। পতিদার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে বিজেপি সরকারের কুনজরে পড়েছিলেন তিনি। যাকে হাতিয়ার করে রাজনীতির ময়দানে নামে কংগ্রেস। গুজরাত কংগ্রেসের সেই লড়াকু নেতার কোনও খোঁজ মিলছে না প্রায় গত এক মাস ধরে। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
হার্দিকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের একটি মামলার কারণে গত মাসের ১৮ তারিখে হার্দিক প্যাটেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই আর বাড়ি ফেরেননি হার্দিক। গ্রেফতারের দিন চারেক পরে জামিন পেয়ে গিয়ছিলেন তিনি। এরপরে তাঁকে ফের অন্য দু’টি মামলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই দুই মামলাতেও ২৪ জানুয়ারি জামিন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়ি ফেরেননি।
জামিন পেলেও আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল হার্দিক প্যাটেলের। কিন্তু তিনি তা করেননি। সেই কারণে চলতি মাসের সাত তারিখে ফের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয় তাঁর বিরুদ্ধে। নিয়মিত হার্দিএর খোঁজে বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছ কিন্তু খোঁজ মিলছে না পতিয়ার আন্দোলনের প্রধান নেতাকে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে হার্দিককে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকার তাঁকে গ্রেফতার করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একগুচ্ছ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগাম জামিনের চেষ্টা চালাচ্ছেন হার্দিক।
এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন হার্দিকের স্ত্রী কিঞ্জল প্যাটেল। তিনি বলেছেন, “গত ২০ দিন ধরে আমার স্বামীর কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। এই সরকার কিছুতেই চাইছে না যাতে হার্দিকের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ থাকুক।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “২০১৭ সালে রাজ্য সরকার বলেছিল পতিদার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। কিন্তু একমাত্র হার্দিককেই আক্রমণ করা হচ্ছে।” পতিদার আনোলনের অন্য দুই নেতা যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন তুলেছেন কিঞ্জল।