নয়া দিল্লি: শুভ কাজের সূচনায় মিষ্টি মুখ করার রীতি ভারতের দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য। এই রীতি মেনেই শুভ সূচনা হল কেন্দ্রের সাধারণ বাজেট ছাপানোর৷ গত সোমবার নর্থ ব্লকে ২০২০-২১ এর বাজেটের নথি মুদ্রণের সূচনাতেই সেরে ফেলল ‘হালওয়া’ দিয়ে মুখ মিষ্টি। সোমবার এই আয়োজনের সমাপ্তির পরই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটের মুদ্রণযন্ত্র পরিদর্শন করেন।
৭০ বছর ধরে চলে আসা এই ঐতিহ্যবাহী রীতি ‘হালওয়া’ অনুষ্ঠান বলেই পরিচিত৷ প্রত্যেক বছর বাজেট পেশের ঠিক ১০ দিন আগেই করা হয় মিষ্টি মুখের আয়োজন। উপস্থিত থাকেন অর্থমন্ত্রকের সমস্ত কর্মকর্তারা৷ একটি বিশাল কড়াইয়ের মধ্যে হালওয়া তৈরি করে করানো হয় মিষ্টিমুখ।
ভারতের ঐতিহ্যকে মেনেই মিষ্টিমুখের এই রীতি হালওয়ার মাধ্যমে পালিত হয়ে আসছে। যেকোনও শুভ কাজ মানেই মিষ্টি দিয়ে তার সূচনার চল ভারতীয় সভ্যতায় বহুকালীন। বাজেট পেশের মতো বিশেষ ঘটনাকেও তাই এই সভ্যতার ঐতিহ্যকে বজায় রেখে হালওয়া খাইয়ে শুরু করা হয়। নথি ছাপার আগেই সেরে ফেলা হয় হালওয়া খাওয়ার পর্ব।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্বয়ং নিজের হাতে বাজেটের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের, বাজেটের ছাপার সঙ্গে যুক্ত কর্মকতাদের এবং অর্থ দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে হালওয়ার বিতরণ করেন। সোমবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সহ অর্থ সচিব রাজীব কুমার, রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পান্ডে, ব্যয় সচিব টি ভি সোমনাথান, অর্থনৈতিক বিষয়ের সম্পাদক অতনু চক্রবর্তী এবং দীপম বিভাগের সচিব তুহিন কান্ত পান্ডে।
বাজেটের গোটা প্রক্রিয়ায় অর্থ দফতরের ১০০ জন আধিকারিক কর্মরত থাকেন। এবং এই কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিয়ে বাজেটের সম্পূর্ণ গোপনীয়তাকে বজায় রাখতে হয়। যতদিন না বাজেট পেশ হচ্ছে ততদিন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ছাড়া অন্যান্য কর্মীদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগের অনুমতি দেওয়া থাকে না। বাজেট ছাপার পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পাদিত হওয়ার পরই কর্মীদের কাজ শুরু করা হয়।