লখনউ: দেশের অর্থনীতির হাল বেহাল। বহু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। একাধিক ব্যাংক সংযুক্তিকরণ হয়েছে। বেকারত্বের হার মারাত্মকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে বিরোধী শিবির। এই অবস্থায় প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতের মাটিতেই মজুত রয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা। তেমনই একটি সোনার খনির সন্ধান পেয়েছে জিওলজক্যাল সার্ভে ওফ ইন্ডিয়া।
দেশের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে মিলেছে এই সোনার খনির সন্ধান। ওই রাজ্যের সোনভদ্রা এলাকায় পাহাড়ের মধ্যেই মজুত রয়েছে বিপুল সোনা। সেই সঙ্গে সোনভদ্রার সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় মাটির নিভে মজুত রয়েছে পটাশ, লৌহ আকরিক, সিলিমানাইট এবং ইউরেনিয়াম প্রভৃতির মতো নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ। এমনই জানিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকেরা।
নানাবিধ খনিজ পদার্থের মাঝে সোনার খনির সন্ধান পাওয়ার খবর যেন বিশেষ আশার সঞ্চার করছে সরকারের কাছে। কারণ জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের দাবি অনুসারে সোনভদ্রার পাহাড়ের নিচে মজুত থাকা সোনার পরিমাণ তিন হাজার টনেরও বেশি। সমীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে সোনভদ্রার কোন থানা এলাকার হারদি গ্রামের মাটির নিচে রয়েছে ৬৪৬.১৫ টন সোনা। অদূরে সোন পাহাড়ের নিচে রয়েছে ২৯৪৩.২৫ টন সোনা।
এই সোনার সন্ধান কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। প্রায় দেড় দশক ধরে এই সোনার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ২০০৫ সাল থেক শুরু হয় অভিযান। সেই সময়ে বিষয়টি কেবল প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। বছর সাতেক অধ্যয়নের পরে ২০১২ সালে ওই এলাকায় সোনার অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যান জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকেরা। বিষয়টি জানানো হয় কেন্দ্রকে।
সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে শুরু হয় পরবর্তী কাজ। এই সময়েই সোনভদ্রা সংলগ্ন এলাকায় আরও অনেক খনিজ সম্পদের সন্ধান পায় জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকেরা। সেই রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
ইতিমধ্যেই এই বিপুল সোনার খনি এবং অন্যান্য খনিজ সম্পদ উদ্ধারের জন্য সাত সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই খনিজ সমদ উত্তোলনের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলা আধিকারিক কেকে রাই। তবে এই টেন্ডার ডাকা হবে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার চুড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই। চলতি সপ্তাহের শঅনিবার লখনউতে সেই রিপোর্ট জমা হবে।