শ্রীনগর: গত দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরেই কাশ্মীরে বেড়েছে সন্ত্রাসবাদীদের প্রভাব। নির্বিচারে জঙ্গিরা খুন করেছে উপত্যকার সাধারণ মানুষকে। বাদ যায়নি সেখানে কাজ করা পরিযায়ী শ্রমিকরা। সম্প্রতি কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে নয়াদিল্লির কপালে ভাঁজ পড়েছে। সন্ত্রাসবাদ সমস্যা সমাধানে গত শনিবারেই কাশ্মীরে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার সফর শেষেই কাশ্মীরে হল গ্রেনেড হামলা। আহত হয়েছেন ছয় জন সাধারণ মানুষ।
জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপুর জেলার সুম্বল ব্রিজে সন্ত্রাসবাদীরা গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সেই হানাতেই ছয়জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন।সরকারী সূত্র জানিয়েছে, জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছিল । কিন্তু গ্রেনেডটি লক্ষ্যবস্তুতে না আঘাত করে একটি যাত্রীবাহী গাড়িতে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে সুরক্ষাবাহী। হামলার স্থল সুরক্ষার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। চলছে জোড়াল তল্লাশি। আহত সকলকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই মাসে, জম্মু ও কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। মৃতদের বেশিরভাগই অ-স্থানীয়।
আরও পড়ুন- T20 World Cup: শামিকে যারা ঘৃণা করছে, আসলে তারা নিজেরাই ঘৃণাতে ভরা: রাহুল গান্ধী
কাশ্মীরে গত কয়েক দিন ধরেই এই ঘটনা ঘটে চলছে। জঙ্গিদের আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। উপত্যকা ছেড়ে পালাচ্ছেন সেখানে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক ও পণ্ডিতরা। ঘটনা গুরুতর হওয়ার জেরেই ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর এই প্রথম সেখানে পা দেন অমিত শাহ। শ্রীনগরে পৌঁছে পুলিশের শীর্ষ কর্তা, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর প্রধান, গোয়েন্দাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন শাহ। কাশ্মীরে সাধারণ মানুষ খুন সহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বৈঠকের দু দিন যেতে না জেতেই ফের অশান্ত হয়ে উঠল ভারতের ভূস্বর্গ।