রাঁচি: আজই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই কথা মতই ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা চম্পাই সোরেন(Champai Soren) বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাবুলাল মারান্ডি, শিবরাজ সিং চৌহান, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে চম্পাই সোরেন তাঁর বিপুল সংখ্যক সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। সামনেই রয়েছে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে তুরুফের তাস হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি, এমনটাই জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিন শীর্ষ নেতৃত্বরা বিজেপিতে স্বাগত জানানোর পর প্রবীণ রাজনীতিবিদ দৃশ্যত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ৬৭ বছর বয়সী এই আদিবাসী নেতা রাজ্য বিধানসভার বিধায়ক এবং ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসাবে দু’দিন আগে পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের কাছে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন যাতে তিনি লিখেছিলেন তিনি দলের বর্তমান কার্যপ্রণালী এবং এর নীতিগুলির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। এই কারণগুলির জন্য তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বলে উল্লেখ করেন। চম্পাই বলেছিলেন, “আমার সিদ্ধান্ত (বিজেপিতে যোগদান) ঝাড়খণ্ডের স্বার্থে… আমি সংগ্রাম করতে অভ্যস্ত।”
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের ‘টাইগার’ নামে পরিচিত চম্পাই সোরেন(Champai Soren) মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন হেমন্ত সোরেন যখন জেলে গিয়েছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। তিনি জেলে থাকার সময় চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন । তবে হেমন্ত জেল থেকে ফিরেই চম্পাইয়ের থেকে সেই পদ আবার নিয়ে নেন। তখন থেকেই নাকি দুরত্ব বেড়েছে বলে খবর। এমনকি চম্পাই সোরেনকে দলেও কোণঠাসা করা হচ্ছিল বলেও শোনা গিয়েছে। এই সুযোগকেই ব্যবহার করেছে বিজেপি। আগামীতে চম্পাই বিজেপি নেতা হিসাবে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন সেই দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। চম্পাইয়ের হাত ধরে বিজেপি কি পারবে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতা দখল করতে? সব প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়ই।