সিমলা: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দেশের একাধিক অংশ। হিমাচল থেকে কেরলে (kerala) ভেঙে পড়ছে বাড়ি, গাছ সহ একাংশ। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ধস নেমেছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। কেদারনাথ (Kedarnath), ওয়ানাডের (Wayanad) সঙ্গে ধস নেমেছে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়তেও। প্রাকৃতিক রোষ যেন কাটছেই না হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) উপর থেকে। এমনিতে মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে বিপর্যস্ত এলাকা এবার তার ওপর খাঁড়ার ঘা দিয়ে আঘাত হানল ভূমিকম্প (Earthquake)। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভূমিকম্পই নতুন করে ভয় ধরিয়েছে।
এইসবের মধ্যেই শুক্রবার হিমাচলে পাওয়া গেল ভূমিকম্পের (Earthquake) খবর। হিমাচল (Himachal Pradesh) রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লাহুল-স্পিতিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে যার কম্পন মাত্রা ছিল ৩.২। তবে এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি । তবে সমস্ত কিছুই যেন নাজেহাল করে দিচ্ছে হিমাচলবাসীকে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ সহ পর্যটকেরাও। সবার মনে একটাই প্রশ্ন এই ভূমিকম্প নতুন কোনো বিপর্যয় আবার হবে না তো? সরকাররে পক্ষ থেকেও সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে। নদী পাড় জাতীয় এলাকা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) সিমলা, কুলুতে (Kullu) এবং মান্ডিতে (Mandi) মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ। ধস এবং বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। নিখোঁজ এখনও প্রায় ৫০ জন। তবে হিমাচল প্রদেশ সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৩ জনের মৃত, যার মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে সিমলা (Shimla), মান্ডি এবং কুলুতে। সিমলার রামপুরে নিরমন্ড, সেঞ্জ, মলানা এবং মান্ডিতে হড়পা বাণে বহু ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। নিখোঁজ প্রায় ৩৬। উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে।