
খাস ডেস্ক: সীমান্তের রাজ্যগুলির কাছে ড্রোন হুমকির কারণ। তবে মানববিহীন এই যান বহু অসাধ্য সাধনও করে। প্রত্যন্ত জায়গায় যেখানে মানুষ পৌঁছাতে পারে না কিংবা দ্রুত কিছু গন্তব্যে পাঠানোর ক্ষেত্রে ড্রোনের জুরি মেলা ভার। ওষুধ, রক্ত, অঙ্গ সময়ে জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আগেই ভারতে নজির গড়েছে ড্রোন। এবার এক বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তির কাছে তাঁর পেনশন পৌঁছে দিল ড্রোন।
হেতারাম সাতনামি যিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং ওড়িশার নুয়াপাডা জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করেনে। সরকারী পেনশন সংগ্রহের জন্য প্রতি মাসে একটি ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে 2 কিমি ভ্রমণ করে যেতে হয় পেনশন তুলতে। তবে চলতি মাসে তাঁকে আর কষ্ট করে দুরত্বের পথ অতিক্রম করে টাকা তুলতে যেতে হয়নি কারণ কারণ একটি ড্রোন তাঁর প্রাপ্য টাকা নিয়ে। ড্রোনটি টাকা নিয়ে ভালেশ্বর পঞ্চায়েত এলাকার ভুটকাপাদা গ্রামে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। রাজ্যের মধু বাবু পেনশন যোজনার একজন সুবিধাভোগী সতনামি বলেন, “”সরপঞ্চ ড্রোনের সাহায্যে টাকা পাঠিয়েছেন। এটা আমার জন্য একটা বড় স্বস্তির কারণ গ্রাম থেকে পঞ্চায়েত অফিস ২ কিমি দূরে, যেটা ঘন জঙ্গলে ঘেরা।” সরপঞ্চ সরোজ আগরওয়াল বলেছেন হেতারাম সতনামির কষ্ট সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি অনলাইনে একটি ড্রোন কিনেছিলেন।
আরও পড়ুন: ফের রাজুর চরিত্রে Akshay, শুরু হল Hera Pheri 3 শ্যুটিং
সরপঞ্চ সরোজ আগরওয়াল বলেছেন, “আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায়, বনের মধ্যে একটি গ্রাম রয়েছে, ভুটকাপাডা। সেই গ্রামে একজন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হেতারাম সতানামি থাকেন। জন্ম থেকেই তিনি নড়াচড়া করতে পারেন না। আমি তাকে রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের অধীনে পেনশনের জন্য নথিভুক্ত করেছিলাম। আমি দেখেছি কীভাবে অন্যান্য দেশে ড্রোনের মাধ্যমে জিনিসগুলি পাঠানো হয়। সে কারণেই আমি একটি ড্রোনের অর্ডার দিয়েছিলাম এবং তার দোরগোড়ায় টাকা পৌঁছে দিয়েছিলাম।” নুয়াপাড়ার ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) সুবাদার প্রধান বলেছেন, মিসেস আগরওয়ালের নিজস্ব উদ্যোগে এটি সম্ভব হয়েছে কারণ পরিষেবা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে এই ধরনের ডিভাইস কেনার ব্যবস্থা নেই। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বহু মানুষ।