গান্ধীনগর: আগামী সপ্তাহে সস্ত্রীক ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ আমেদাবাদে এক মেগা ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করবেন তিনি৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারত সফরকে ঘিরে প্রশাসনির স্তরে ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে৷ তাঁকে স্বাগত জানাতে সবরকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে গুজরাত৷
আমেদাবাদে ‘কেম ছো ট্রাম্প’ মেগা ইভেন্টের সাক্ষী থাকতে বহু এনআরআই গুজরাতে আসা শুরু করেছেন৷ আসছেন দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা৷ উপস্থিত থাকবেন সেলিব্রিটিরাও৷ দিল্লি থেকে আসবেন নেতা-মন্ত্রী এবং আমলারা৷ থাকবে দেশ-বিদেশের মিডিয়া৷ বিশ্বের এক নম্বর শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের নিরাপত্তার জন্য বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মীর আয়োজন করা হয়েছে৷ আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তার দায়িত্বে এসপিজি৷ সব মিলিয়ে আমেদাবাদে আগামী সপ্তাহে তিল ধারণের জায়গা থাকবে না৷
এই অবস্থায় ট্রাম্পের এই ভারত সফর থেকে ব্যবসায় ফায়দা তুলতে মওকা বুঝে গুজরাতের হোটেল ব্যবসায়ীরাও নিজেদের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে৷ আমেদাবাদ ও গান্ধীনগরের স্টার হোটেলগুলিতে এক ধাক্কায় রুম ভাড়া বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷
রুম ভাড়া যে বেড়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অব গুজরাতের প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র সোমানি৷ তিনি জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি মোদী-ট্রাম্প ইভেন্টের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পরই হোটেল বুকিংয়ের ধুম পড়ে গিয়েছে৷ বেশিরভাগ স্টার হোটেলগুলিতে রুম আর খালি নেই৷ এখনও অনলাইনে অনেকে রুমের জন্য আবেদন করছেন৷ কিছু হোটেলে ঘর খালি রয়েছে৷ সেগুলিও এর মধ্যে বুকিং হয়ে যাবে৷
চাহিদা বাড়লে জিনিসের দাম বাড়ে৷ এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে৷ নরেন্দ্র সোমানি জানান, মেগা ইভেন্টের দিন যত এগিয়ে আসবে হোটেল ভাড়া আরও চড়তে থাকবে৷ ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের সময় হোটেলের রুমের ভাড়া দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা হয়ে যায়৷ কিন্তু এবার সেটাও ছাপিয়ে গিয়েছে৷ সাধারণ মানের হোটেলে যেখানে রুম ভাড়া দৈনিক ২-৪ হাজার টাকা, সেই ভাড়া বেড়ে হয়েছে ৫-৭ হাজার টাকা৷
এমনিতেই ডিসেম্বর থেকে মার্চের মাঝামাঝি সময় এই দুই শহরের হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে মুনাফার সময়৷ এই সময় হোটেলগুলিতে ৮০-৮৫ শতাংশ বুকিং থাকে৷ যেখানে অন্যান্য সময় এই বুকিং রেট থাকে ৫৫-৬০ শতাংশ৷ এবার পিক সিজনে মোদী-ট্রাম্প ইভেন্ট পড়ে যাওয়ায় হোটেল ব্যবসায় রমরমা আরও বেড়ে গিয়েছে৷