খাস ডেস্ক: সারা দেশে একেই তো প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অভাব, তার উপর চিকিৎসকদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে রোগী পরিষেবা। কারণ প্রতিবাদে সামিল চিকিৎসকরা।
বাংলায় আরজিকর-কাণ্ডের পরে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দল আন্দোলনে সামিল। প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও রাস্তায় নেমে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাস্তবে ছবিটা অন্যরকম।
বিজেপিশাসিত অসমে এবার চিকিৎসক পেটানোর ঘটনা সামনে এল। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তিন চিকিৎসককে ধরে পেটাল রোগী পরিজনরা। সূত্রের খবর, পথ দুর্ঘটনায় এক যুবক গুরুতর জখম হওয়ার পরে তাঁকে গুয়াহাটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় সাড়া দেননি তিনি। ওই যুবকের মৃত্যুর পরে তিনজন জুনিয়র ডাক্তারকে চিকিৎসা গাফিলতির দায়ে বেধড়ক পিটিয়েছে রোগীর পরিজনরা। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, গোলমালের ঘটনার পরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫জনকে আটক করা হয়েছে।
সারা দেশে চিকিৎসা পরিষেবা একেই তো অপ্রতুল, তার উপর ডাক্তারি পঠন-পাঠন নিয়ে দুর্নীতি চলছে। নিট পরীক্ষায় দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে জড়িত বিজেপিশাসিত গুজরাট সরকারও। চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনাগুলো নিয়ে রাজনীতি চলছে। এতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট আশার আলো দেখিয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পর্যন্ত উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। গঠন করা হয়েছে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। সুপ্রিম কোর্ট যে টাস্ক ফোর্সটি গঠন করেছে সেই টাস্ক ফোর্সের সদস্য ১২জনের কাছাকাছি বিশিষ্ট চিকিৎসক। দিল্লি এইমসের একাধিক চিকিৎসককে টাস্ক ফোর্সের অন্তর্গত করা হয়েছে। এখন দেখার টাস্ক ফোর্স চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।