নয়া দিল্লি: করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ পার করে এখন তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়ছে গোটা দেশ। করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিনকেই একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে মান্যতা দিয়েছে বিভিন্ন মহল। এরই মাঝে সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নয়া এক সমীক্ষায় দেখা গেল যারা করোনার ভ্যাকসিন নেয়নি তৃতীয় ঢেউয়ে তাঁদেরই মৃত্যুর হার বেশী।
দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালের নয়া সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে যেসকল করোনা রোগীদের মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশই ভ্যাকসিন নেয়নি। সম্প্রতি তারা একটি রিপোর্ট পেশ করে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৮২ জন মৃত্যু হয়েছে, যেখানে ৬০ শতাংশ ব্যক্তি ভ্যাকসিন নেয়নি। পাশাপাশি, করোনা সংক্রমিতদের মধ্যে বেশীরভাগের বয়স ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং তাঁরা সকলেই কিডনি, হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
তবে তৃতীয় ঢেউয়ে করোনা রোগীদের কৃত্রিম অক্সিজেনের প্রয়োজন তুলনামূলক কম ছিল। তৃতীয় ঢেউয়ে মাত্র ২৩.৪ শতাংশ করোনা রোগীদের কৃত্রিম অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে যথাক্রমে ৬৩ ও ৭৪ শতাংশ রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়েছিল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ৫ বছরের নীচের বাচ্চাদের মাস্ক পড়ার প্রয়োজন নেই। ৬-১১ বছর বয়সী শিশুদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক নয়। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্র একটি হলফনামায় জানিয়েছিল, ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কাউকে জোর করা যাবেনা। কোনও ব্যক্তি ভ্যাকসিন নিতে না চাইলে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা কেন্দ্র কখনোই বলেনি। এরপর শুরু হয় ঘোর বিতর্ক। যদিও, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ সকলেই ভ্যাকসিন নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রত্যেক দেশবাসীকে।
ভারতে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশ ইতিমধ্যেই টিকাকরণে ১৫০ কোটির মাইল অতিক্রম করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা টিকাকরণের সংখ্যা ৭১ লক্ষ ১০ হাজার ৪৪৫। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকাকরণের সংখ্যা ১৬১ কোটি ৯২ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৭০।