খাস ডেস্ক: ১৯৮৪ সালে শিখবিরোধী দাঙ্গার দায়ে অভিযুক্ত জগদীশ টাইটেলার রাজধানীর দিল্লির একটি সেসনস কোর্টে জামিন পেলেন। দাঙ্গা বাঁধানো ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত টাইটেলার। তবে এদিন টাইটেলার জামিন পাওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আইনজীবীদের একাংশ শিখবিরোধী দাঙ্গার ঘটনায় অভিযুক্ত টাইটেলারের জামিন পাওয়ার বিরোধিতা করে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন।
সূত্রের খবর, দিল্লির ফুল বাঙ্গাস গুরুদোয়ারায় ১৯৮৪ সালে তিন ব্যক্তিকে খুন করার দায়ে অভিযুক্ত জগদীশ টাইটেলার। এই মামলায় ট্রায়াল শুরু হতে কেন ৪০ বছর সময় লাগল, তা নিয়েও আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। দাবি উঠেছে, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে জগদীশ টাইটেলারকে জেলে পুরতে হবে। প্রসঙ্গত, জগদীশ টাইটেলারের বিরুদ্ধে কেবল একাধিক হত্যাকাণ্ড নয়, আরও যে অভিযোগগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বেআইনি জমায়েত খেকে আরম্ভ করে চুরি, অশান্তিুতে প্ররোচনা দেওয়ার মতো অভিযোগও।
এই মামলায় ২০২৩ সালের মে মাসে অভিযুক্ত জগদীশ টাইটেলারের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট পেশ করেছে। ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী খুন হওয়ার পরে রাজধানীতে শিখবিরেোধী দাঙ্গা চলাকালীন সময়ে টাইটেলার ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দাঙ্গার ঘটনাটি ঘটেছি্ল ১৯৮৪ সালের নভেম্বর মাসে।
টাইটেলার অবশ্য বারংবার দাবি করছেন, হিংসা ও খুনের ঘটনায় তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। তবে সিবিআই দাবি করছে, টাইটেলারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। সা্ক্ষীদের বক্তব্যও টাইটেলারের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এর আগে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মনমোহন সিং সংসদে দাবি করেন, ১৯৮৪ সালে যে দাঙ্গার ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এজন্যে কেবল শিখ সম্প্রদায়ের কাছেই নয়, সমস্ত দেশবাসীর কাছে তিনি অনুতপ্ত।