
নয়াদিল্লি: গণধর্ষিতা হয়েছিলেন হাথরাসের দলিত মেয়েটি৷ গণধর্ষণের পরই তাঁকে খুন করা হয়৷ তিন মাস ধরে তদন্তের পর চার্জশিটে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই৷
হাথরাসের ঘটনায় অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, এলাহাবাদ হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করবে সিবিআই৷ তারপর এই সপ্তাহে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ জানায়, ২৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে৷ তবে তার আগে সিবিআইকে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত৷ সেই নির্দেশ মেনেই চার্জশিট জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷
গত ১৪ সেপ্টেম্বর উচ্চবর্ণের চার যুবক হাথরাসের ২০ বছরের দলিত মেয়েটিকে গণধর্ষণ ও নির্মম অত্যাচার করে বলে অভিযোগ৷ বেশ কিছুদিন দিল্লি হাসপাতালে ভরতি থাকার পর মেয়েটি মারা যায়৷ ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ তাদের বিরুদ্ধে শুধু গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগই নয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি/উপজাতি আইনের আওতায় মামলা দায়ের করেছে সিবিআই৷
এদিকে প্রধান অভিযুক্ত জেল থেকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লেখেন৷ তাঁর দাবি, তাঁদের চারজনকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে৷ তাঁরা সঠিক বিচার চান৷ এমনকি সে আরও অভিযোগ করে, মেয়েটির উপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে খুন করে মা ও ভাই৷ যদিও অভিযুক্তের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে মেয়েটির মা৷ সিবিআইয়ের চার্জশিটেও ইঙ্গিত মিলেছে মেয়েটির পরিবারের দাবি সত্যিই৷