খাস খবর ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য জানার বিষয়ে আরও এক ধাপ এগোল সিবিআই। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা এফআইইউকে চিঠি দিলেন।
মঙ্গলবার সকালে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল প্রায় এক ঘণ্টা অভিষেকপত্নীকে জেরা করেন। জেরা করার সময় গোয়েন্দারা তাঁর কাছ থেকে বিদেশি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাইলেও তিনি তা দেননি বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে তাঁর মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে সিবিআই কর্তারা এফআইইউ (ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটে)-কে চিঠি পাঠালেন। রুজিরার ব্যাংককের দুটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিলেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: কুঁদঘাটে ম্যানহোলে তলিয়ে গেলেন চার সাফাই কর্মী, আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার
প্রবাসী ভারতীয় বা ভারতীয় নাগরিকের বিদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যে সমস্ত লেনদেন হয় সেই তথ্য ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের কাছে থাকে। অতীতে বিভিন্ন আর্থিক প্রতারণাতে এই ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট থেকে রুজিরার অ্যাকাউন্টের তথ্য পেলেই ফের একবার তাঁকে জেরা করতে পারেন গোয়েন্দারা। এবার রুজিরাকে জেরা করার আগে নিজেদের পুরোপুরি গুছিয়ে নিতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
এদিকে রুজিরা ইস্যুতে প্রত্যাশিতভাবেই নিজের ভাইপোর স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার হুগলির ডানলপের মাঠ থেকে তিনি বলেন, নিজে কয়লা চোরেদের কোলে নিয়ে দুলছেন৷ আর বাংলার ঘরের মেয়ে, বৌকে কয়লা চোর বলছেন? আমার বাড়িতে ঢুকে একটা বাচ্চা মেয়ে, ২২ – ২৩ বছর বয়স, তাকে কয়লা চোর বলছেন? লজ্জা করে না!
আরও পড়ুন: জোর করে মানুষকে সভায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল: সায়ন্তন
মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, আজ আমার ঘরের মা বোনেরা কয়লা চোর? আর তোমার সারা গায়ে ময়লা লেগে আছে। নোটবন্দির টাকা গেল কোথায় নরেন্দ্র মোদী জবাব দেও। কোল ইন্ডিয়া বিক্রি হচ্ছে কেন নরেন্দ্র মোদী জবাব দেও।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার আচমকায় অভিষেকের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই৷ কয়লা পাচার কাণ্ডে রুজিরাকে জেরা করার নোটিস ধরান তাঁরা৷ মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল পৌঁছানোর আগেই অভিষেকের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কথা বলেছিলেন রুজিরার সঙ্গে৷
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে সোজা NJP, পর্যটন শিল্পে নতুন দিশা কেন্দ্রের
মমতা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে লড়তে না পেরে ভাইপো ও ভাইপো-স্ত্রীকে নিশানা করেছে কেন্দ্র৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদীকে পাল্টা জবাব দিয়ে নেত্রী আসলে বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি থাকতে তাঁর পরিবারের গায়ে কেন, বাংলার কারও গায়েই কোনও আচড় লাগতে দেবেন না৷