নয়াদিল্লি: CBI গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (GAIL)-এর ডিরেক্টর (মার্কেটিং) ইএস রঙ্গনাথন ( E.S. Ranganathan)-কে ঘুষের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সিবিআই জানিয়েছে, অভিযুক্তদের ঘর থেকে তল্লাশির সময় কমপক্ষে ১.২৯ কোটি টাকা নগদ ও ১.৩০ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সিবিআই এর আগে GAIL দ্বারা বিপণিত পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যগুলিতে ছাড়ের বিনিময়ে বেসরকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে ঘুষের দাবি এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে রঙ্গনাথন এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। রিপোর্ট অনুসারে, দিল্লির দুজন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করেছিল। যাদের মাধ্যমে রঙ্গনাথন ঘুষ পেয়েছিলেন বলেই কথিত রয়েছে। এটাও অভিযোগ করা হয়েছে যে রঙ্গনাথন মধ্যস্বত্বভোগী পবন গৌর এবং রাজেশ কুমারের সঙ্গে “অপরাধী ষড়যন্ত্রে দুর্নীতি ও বেআইনি কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন”। যিনি দিল্লির বাহুদরগড় রোড থাকা রিশব পলিকেম প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালকও।
সিবিআই-এর অভিযোগ পবন গৌর এবং রাজেশ কুমার গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (GAIL) দ্বারা বিপণিত পেট্রো রাসায়নিক পণ্যগুলি ক্রয় কারী বেসরকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে রঙ্গনাথনের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করেছিল। এই ধরনের একটি ঘুষ বিনিময়ের তথ্যের ভিত্তিতে, সিবিআই দলগুলি একটি ফাঁদ পেতেছিল। সেই পাতা ফাঁদেই দুই মধ্যস্বত্বভোগী গৌর এবং কুমার ধরা পরে। গ্রেফতার হওয়ার সময় তাঁদের কাছ থেকে রঙ্গনাথনের হয়ে সংগ্রহ করা প্রায় ১০ লাখ টাকার ঘুষ উদ্ধার করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- রাজ্যের থানাগুলো গুন্ডাদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে, বিস্ফোরক দাবি সাংসদের
উল্লেখ্য, রঙ্গনাথন এবং মধ্যস্বত্বভোগী গৌর এবং কুমার ছাড়াও, সিবিআই এন রামকৃষ্ণন নায়ার, যিনি ঘুষ সংগ্রহ করেছিলেন তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও ব্যবসায়ী সৌরভ গুপ্ত এবং তার পঞ্চকুলা-ভিত্তিক সংস্থা ইউনাইটেড পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আদিত্য বানসাল ও তার কোম্পানি কর্নাল-ভিত্তিক বানসাল এজেন্সির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। CBI-এর মুখপাত্র আরসি যোশি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা দিল্লি-এনসিআর-এর আটটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল যার মধ্যে দিল্লির ভিকাজি কামা প্লেসে রঙ্গনাথনের অফিস এবং নয়ডার সেক্টর ৬২-এ তাঁর বাসভবন রয়েছে। আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে এই বিষয়ে এর আগে অভিযুক্তের কাছ থেকে অন্য এক ব্যক্তিও .৪০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন। পরবর্তী অনুসন্ধানগুলি দিল্লি, নয়ডা, গুরগাঁও, পঞ্চকুলা, কারনাল ইত্যাদিতে অভিযুক্তদের প্রাঙ্গনে পরিচালিত হয়েছিল। এই অভিযানে এখনও পর্যন্ত ১.৩০ কোটি টাকা (আনুমানিক) নগদ উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে গুরগাঁও ভিত্তিক ব্যক্তিগত ব্যক্তির কাছ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।