কলকাতা: বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। সেনার চপারে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরা হয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন হাসিনা। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর বোন রেহানা। ইতিমধ্যেই বিএসএফের ডিজি কলকাতায় পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন বিএসএফের এক সিনিয়র অফিসার। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ।
৫ আগস্ট ঢাকায় সরকার নতুন কারফিউ জারি করার পর বাংলাদেশি সেনারা রাস্তায় টহল দিচ্ছে। স্থানীয় সময় ৪ আগস্ট ঢাকা কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন কারফিউ জারি করেছে। কোটা নিয়ে অশান্তির জের ও লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভে বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং আইন প্রয়োগকারীরা অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশী সরকার ২০ জুলাই প্রাথমিক দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে এবং ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলে সহিংসতা শুরু হওয়ার পরে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছিল। সেই সময় থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজর রাখা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে বহু বাংলাদেশী ভারতে আশ্রয় নিতে সিমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে আসতে পারে। তাই সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই-অ্যালার্ট। । চ্যাংড়াবান্ধা, পেট্রাপোল সীমান্তে দুদেশের বাণিজ্য বন্ধ । ইতিমধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।
জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশ রুখতে দুটি গাড়ি করে ভারতীয় জওয়ানদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে এখনও কিছু মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি। গোটা ঘটনার উপরেই নয়াদিল্লি নজর রাখছে। বাংলাদের বিষয়কে আভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই আগে উল্লেখ করেছে কেন্দ্র মোদী। সময় যত যাচ্ছে ততই উদ্বেগ বাড়ছে। নয়াদিল্লি বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে কি প্রতিক্রিয়া দেয় সেই দিকে নজর রেখেছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করছি। বিষয়টা ভারত সরকারের অধীনে। ওরা যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা মেনে চলব।”