লখনউ: দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। সেই রাম রাজ্যেই রয়েছে আগামী মাসে বিধানসভা নির্বাচন। যা নিয়েই খই ফুটছে রাজনৈতিক মহলে। ভোটের আগে শুরু হয়েছে দলবদল ও দল ভাঙানোর খেলা। বুধবারেই যোগীর বিজেপির বিরোধী শিবির সমাজবাদী পার্টিতে লেগেছে জোড়াল ধাক্কা। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিং যাদবের ছোট পুত্রবধূ অপর্ণা যাদব। এই নিয়েই এবার বিজেপির কটাক্ষের মুখে পড়েছেন অখিলেশ যাদব।
অপর্ণা যাদবের গেরুয়া শিবিরে যোগদান নিয়ে অখিলেশ যাদবকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। বলেছেন, অখিলেশ যাদব “একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, একজন সাংসদ হিসাবে এবং তাঁর নিজের পরিবারে ব্যর্থ” হয়েছেন। নির্বাচনের আগে যাদব পরিবারের পুত্রবধূর এই যোগদান নিয়ে কেশব প্রসাদ মৌর্য উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে উপহাস করে করেছেন। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “তিনি (অখিলেশ) দাবি করতেন যে তার সরকার বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এখন এই আসনগুলির কোনটা থেকেই নির্বাচন করার সাহস তাঁর নেই। আমি অবাক হয়েছি।” বাঁকা সুরে অখিলেশকে কটাক্ষ করে বলেছেন, রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য কৃতিত্ব দাবি করতে পছন্দ করেন কিন্তু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস পাননি।
কেশব প্রসাদ মৌর্য আরও বলেছেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব নিজের পরিবারে সফল নন। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবেও অসফল।” বলা বাহুল্য যে রাম রাজ্যে নির্বাচনের আগে বিরোধী পরিবারের সদস্যের শাসক শিবিরে যোগদান নিঃসন্দেহে চর্চার ঘটনা। সেই সঙ্গে শাসক শিবিরের কাছে বিরোধীকে আরও কোনঠাসা করার বড় অস্ত্রও বটে। ক্ষমতা পুনরায় দখলের জন্য সেই অস্ত্রকে কাজে লাগাবে না এটা তো হতেই পারে না। অখিলেশের ভ্রাতৃবধূর বিজেপিততে যোগদান ও অখিলেশের প্রার্থী হওয়া নিয়ে তাই সুর ছড়িয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর খাসতালুকে দলের অস্বস্তি এড়াতেই কি দুই নেতাকে বহিষ্কার, উঠছে প্রশ্ন
সমাজবাদী পার্টির প্রধানের প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিজেপির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তোপ দেগে বলেছেন, “অখিলেশ যাদব বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভয় পান। তিনি একটি নিরাপদ জায়গা খুঁজে পেতে এত সময় নিয়েছেন। তিনি উন্নয়নের জমিতে লড়াই করতে ভয় পান। অখিলেশ জি, আগে বলুন ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কোথায় হয়েছে? আপনি বিজেপির উন্নয়ন কাজের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবেন না।” তবে যাই হল রাজনৈতিক মহলের মতে আসন্ন নির্বাচনের আবহে পরিবারের একজন সদস্যের বিজেপিতে যোগদান সমাজবাদী পার্টির কাছে বড় ধাক্কা ও শাসক বিজেপির কাছে বিরাট লাভের বিষয়।