খাস ডেস্ক: সারা দেশজুড়ে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে চলেছে। ভারত নারী সুরক্ষার পক্ষে মোটেও নিরাপদ নয়। তামিলনাড়ুতে ১২জন ছাত্রী স্কুল শিক্ষকদের একাংশের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার পরে মূল অভিযুক্ত বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম শিবরামন। শিবরামন বিষ খাওয়ার পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় শিবরামনের মৃত্যু হয়েছে।
ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহের ঘটনার পরে এপর্যন্ত মোট ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পকসো আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তামিলনাড়ুতে ভুয়ো এনসিসি ক্যাম্প বসিয়ে সেখানে ছাত্রীদের যৌননিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তদের একাংশ আবার ওই বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। ফলত রক্ষকই ভক্ষক।
বাংলায় আরজিকরের ছাত্রী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে জাতীয় সংবাদমাধ্যম একে একে সম্প্রচার করতে শুরু করেছে দেশের অন্য রাজ্যগুলোতে লাগাতারভাবে যৌন হেনস্থার ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন স্কুলছাত্রীদের যৌন হেনস্থার ঘটনা জানাজানির পরে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন তদন্তের জন্যে সিট গঠন করে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হবে। যৌন নিগ্রহের শিকার এক ছাত্রী তার বাবা-মাকে ঘটনার কথা জানানোর পরে বিষয়টি সামনে আসে। এরপর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা শুরু হয়।
মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার এড়াতে যেভাবে বিষপান করে যেভাবে আত্মঘাতী হয়েছে, তা অভূতপূর্ব ঘটনা হিসেবে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভুয়ো এনসিসি ক্যাম্প বসিয়ে স্কুলছাত্রীদের যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে। এছাড়া আরও অভিযোগ, ঘটনার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের জানায় যৌন নিগ্রহের ঘটনাটি যেন চেপে যায় ওরা।