নয়াদিল্লি: তালিবানরা আফগানিস্তান দখলের পরেই কাবুলিওয়ার দেশ একাধিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। সমগ্র বিশ্বের নজর রয়েছে আফগানে উদ্ভুত পরিস্থিতির উপর। পাহাড় ঘেরা দেশ নিয়ে চলছে বিশ্বের একাধিক দেশের মধ্যে আলোচনা। তালিবান সরকারকে ভারত এখনও সমর্থন না করলেও আফগানিস্তানের যাবতীয় পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে নয়াদিল্লির। আফগানিস্তানে উদ্ভূত মানবিক সংকট নিয়ে জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক গয়েছে। সেখানেই সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ভারত আফগানদের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছুক।
তালিবানদের উত্থানে ভারতের চাপ বেড়েছে আফগানিস্তানের জনগণের পাশে ভারত যে রয়েছে সেটাই বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। আফগানিস্তান একটি সংকটময় এবং চ্যালেঞ্জিং পর্যায় অতিক্রম করছে। তিনি বলেছেন, আফগানরা দারিদ্র্যের মাত্রা বৃদ্ধির হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে। যে ঘটনা ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য এটি একটি বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলতে পারে। জয়শঙ্করের কথায় আফগানিস্তানের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সর্বদা তার জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে এবং যা এখনও অব্যাহত থাকবে।
জয়শঙ্কর বলেছেন, “আজ, আমি এটা বোঝাতে চাই যে, আফগানিস্তান একটি মারাত্মক উদ্ভূত পরিস্থিতির মুখে। ভারত অতীতের মতো আফগান জনগণের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছুক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত হয়ে আফগান জনগণকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে।” তিনি জাতিসংঘে আরও বলেন, “তাত্ক্ষণিক প্রতিবেশী হিসাবে, ভারত ‘বোধগম্য উদ্বেগের’ সঙ্গে সেখানের যাবতীয় উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করছে। ইউএনডিপি সম্প্রতি মূল্যায়ন করেছে যে দারিদ্র্যের মাত্রা ৭২ শতাংশ থেকে ৯৭ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ভয়াবহ পরিণতি তৈরি করতে পারে।”
আফগানিস্তানে মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে একটি সংক্ষিপ্ত বক্ত্যবের মধ্যেই এই কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “একবার ত্রাণসামগ্রী সেই দেশে পৌঁছে গেলে, বিশ্ব স্বাভাবিক ভাবেই আফগান সমাজের সকল স্তরে মানবিক সহায়তার একটি বৈষম্যহীন বিতরণ আশা করবে।” তবে তালিবান শাসনে আফগানের মানুষের পাশে কতটা দাঁড়ানো যাবে সেই নিয়েও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।