খাসডেস্ক: দীর্ঘ ৬ মাস। ২১ শে মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইউি (ED)। এরপর সিবিআই তাঁকে একই মামলায় গ্রেফতার করে। ইডির করা মামলার অন্তবর্তী জামিন মিললেও জামিন পাননি সিবিআই এর মামলায়। কিছুদিন প্যারোলে ছাড়া পেলেও তাঁকে ফিরে যেতে হয়েছিল তিহাড়ে। এবার সিবিআই এর মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (ARVIND KEJRIWAL) জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: প্রার্থী হচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী, মোট ৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা আপের
আবগারি মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন কেজরী। গত ৫ সেপ্টেম্বর সেই সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চে। রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। এরপর শুক্রবার সকালে রায় ঘোষণা করা হয়। নিম্ন আদালতে না গিয়ে প্রথমেই কেন দিল্লি হাই কোর্টে গিয়েছেন কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় সেই প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল। তবে ওই যুক্তিতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন আটকানো যায়নি। কেজরীকে জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া মন্তব্য করেন, ‘‘ইডির মামলায় কেজরীওয়াল যাতে জামিনে মুক্তি না পেয়ে যান, সেই কারণেই সম্ভবত সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।’’
আরও পড়ুন: শর্ত বেঁধে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইলেন মহম্মদ ইউনূস
গ্রেফতারির সময় নিজের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরিওয়াল (ARVIND KEJRIWAL)। তার জেরে তিনিই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেননও। তবে গ্রেফতারির আগে নিজের পদ থেকে আগেই তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। এদিকে বেশ কয়েকটি শর্তে কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়া হয়েছে। যেমন তিনি কোন ফাইলে সই করতে পারবেন না। নিজের দফতরেও যেতে পারবেন না। প্রকাশ্যে এই সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ ছিল, কেজরিওয়াল ও তাঁর দল আপ মিস কবিতাকে হোলসেল লাইসেন্স দেওয়ার জন্য ১০০ কোটি টাকা নিয়েছেন। ইডি ও সিবিআই এর অনুমান ভোট ক্যাম্পেনে এই দুর্নীতির টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে।