
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। দল ভাঙ্গানোর জন্য বিজেপি সিদ্ধহস্ত। এই অভিযোগ যদিও নতুন নয়। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, ঝাড়খণ্ডের পর তেলেঙ্গানার টিআরএস বিধায়ককে ঘুষ দেওয়ার এবং তাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করার জন্য কাঠগোরায় তুলেছেন। শুধু তাই নয় বিরোধী দলে ভাঙ্গন ধরানোর জন্য বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-দুঃসাহসিক চুরি, নগদ না পেয়ে ব্যাঙ্কের কম্পিউটার, কীবোর্ড নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীদের দল
অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারকে পতনের অভিযোগে ‘অপারেশন লোটাস’ মধ্যে যদি অমিত শাহের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হয় তবে তাঁকে যেন গ্রেফতার করা হয় এই দাবিই এদিন তুলেছেন সিসোদিয়া। আপ নেতা দাবি করেছেন যে বিজেপি এর আগে দিল্লি, পাঞ্জাব এবং অন্যান্য আটটি রাজ্যে বিধায়ক শিকারের চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেছেন বিজেপির এই একটি “নোংরা খেলা” তেলেঙ্গানায় আবারও সামনে এসেছে। তিনজন ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন বহনকারী একটি অডিও ক্লিপ উল্লেখ করে সিসোদিয়া বলেছেন তাঁদের মধ্যে একজন “শাহ জি” নাম উলেখ করেছেন এবং তাঁরা কিছু টিআরএস বিধায়ককে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর পরেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “যদি ‘শাহ জি’ সত্যিই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হন, তবে তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। কারণ একজন দালাল যদি একজন বিধায়ককে কিনতে গিয়ে ধরা পড়ে এবং তাতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম থাকে, তাহলে তা গোটা দেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক।”
https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor
উল্লেখ্য, গত বুধবার, তেলেঙ্গানায় মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস-এর বিধায়কদের শিকার করার চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হেফাজতে চেয়ে পুলিশের আবেদন আদালত প্রত্যাখ্যান করার পরে তিনজন মুক্ত হয়ে যায়। তেলেঙ্গানায় বিজেপির কথিত ‘অপারেশন লোটাস’-এর কথা উল্লেখ করে, সিসোদিয়া বলেছেন, “২৭ অক্টোবর, আপনারা কেউ কেউ রিপোর্ট করেছিলেন যে সাইবারাবাদে একটি অভিযান চালানো হয়েছিল এবং তিন অভিযুক্তকে ১০০ কোটি টাকা দিয়ে ধরা হয়েছিল৷ সেখানে সেই দালালদেরও ছবি ছিল। এই দালালরা বিজেপির অপারেশন লোটাস চালাতে গিয়ে ধরা পড়ে। এই তিন দালাল হল রামচন্দ্র ভারতী, সিমাইয়া এবং নন্দ কুমার।” এই বছরের আগস্টে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং এএপি নেতৃত্ব বিজেপিকে দিল্লিতে তার সরকার পতনের জন্য তার বিধায়কদের ২০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। যদিও বিজেপির তরফে সেই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।