জলাতঙ্ক বিরোধী টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন হোক, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকের অনুরোধ প্রাণী অধিকার সংস্থার

FIAPO দাবি করেছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে কুকুরে কামড়ানোর পর অবিলম্বে চিকিত্সা করার প্রয়োজন এবং ব্যক্তিদের কামড়ানো ব্যক্তিদের দ্রুত জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন।

0
32

নয়াদিল্লি: ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মানুষের জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্য নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে জাওউয়ার জন্যই বিশ্বের সমস্ত দেশের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সারমেয়দের নিয়ে। এই কারণেই দিল্লিভিত্তিক প্রাণী অধিকার সংস্থা FIAPO (ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমেল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশনস) কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে বিপথগামী ও পোষা কুকুরের জন্য দেশব্যাপী জলাতঙ্ক বিরোধী টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।

দিল্লিভিত্তিক প্রাণী অধিকার সংস্থা FIAPO (ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমেল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশনস) কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে বিপথগামী ও পোষা সারমেয়দের জন্য দেশব্যাপী জলাতঙ্ক বিরোধী টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার। FIAPO- এর মতে, বিশ্বব্যাপী জলাতঙ্ক রোগের ৩৬ শতাংশ ভারতের। প্রাণী অধিকার সংস্থা জানিয়েছে, জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণে পশু জন্ম নিয়ন্ত্রণ (এবিসি), টিকাদান, কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমেল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশনসের সিইও ভারতী রামচন্দ্রন বলেছেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মানুষের জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্য সফল হবে না যদি আমরা জরুরী ভিত্তিতে জলাতঙ্ক রোগ মোকাবিলা করি। এটা না করলে আমাদের আগামী প্রজন্ম জলাতঙ্ক রোগের হুমকির মধ্যে পড়বে।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন- নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিপাতে নাজেহাল বাংলা, জেনে নিন আবহাওয়ার হালহকিকত

FIAPO দাবি করেছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে কুকুরে কামড়ানোর পর অবিলম্বে চিকিত্সা করার প্রয়োজন এবং ব্যক্তিদের কামড়ানো ব্যক্তিদের দ্রুত জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন। ভারতী রামচন্দ্রন কথায়, “২০১৭ সাল থেকে, FIAPO গবেষণা করছে এবং WHO এর ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাঁদের অভিযান ‘র‍্যাবিস ফ্রি ইন্ডিয়া’-এর মাধ্যমে জলাতঙ্ক মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। কেরালা, পাঞ্জাব এবং আসামে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই প্রচারের লক্ষ্য হল আরও ভাল নীতিমালা তৈরি করে সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে পশুদের মানসম্মত যত্ন প্রদানের জন্য সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাতে মানুষ এবং পশুর মধ্যে সংঘাতের সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে।”