কলকাতা: জ্বলছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই-অ্যালার্ট। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ যে যে জায়গাগুলি দিয়ে সীমান্ত শেয়ার করে কড়া নজর রাখা হয়েছে। একটা মাছিও যেন গলতে না পারে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএফ-এর ডিজি। এই আবহেই এবার দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কি কারণে তিনি দিল্লি উড়ে গেলেন তা খোলসা করে কিছুই জানা যায়নি।
শুভেন্দু মুখে কিছু না বললেও সূত্রের খবর তিনি দিল্লি যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন। সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। হাসিনা পালিয়ে আসার পরেই বহু মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার জন্য সীমান্তে জড়ো হয়েছে বলে খবর মিলেছে। এই আবহেই শুভেন্দু সোমবার বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “এক কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আসবে। আপনারা তৈরি থাকুন। আমি তো তৈরি আছি। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে বলব, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলুন।” এই নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে। তাঁরআ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সেই নিয়েও শুভেন্দু কথা বলতে পারেন।
প্রসঙ্গত, কোটা নিয়ে অশান্তির জের ও লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভে বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং আইন প্রয়োগকারীরা অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশী সরকার ২০ জুলাই প্রাথমিক দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে এবং ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলে সহিংসতা শুরু হওয়ার পরে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছিল। সেই সময় থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজর রাখা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে বহু বাংলাদেশী ভারতে আশ্রয় নিতে সিমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে আসতে পারে। তাই সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই-অ্যালার্ট। । চ্যাংড়াবান্ধা, পেট্রাপোল সীমান্তে দুদেশের বাণিজ্য বন্ধ । ইতিমধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। রাতে স্থল-জল উভয় সিমানায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।