নয়াদিল্লি: ঘরে বন্ধ করে ১২ বছরের এক নাবালিকাকে লাগাতাল ধর্ষণ ও নির্যাতন চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির ঘটনায় আক্রান্ত কিশোরীর উপর এমনই ভয়াবহ নির্যাতন চলেছে যে তার অবস্থা এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক। একটি অস্ত্রোপচারের জন্য এইমসে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। তবে ৪৮ ঘণ্টার আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম কৃষ্ণ, তার বয়স ৩৩ বছর। তার বিরুদ্ধে একটি খুনের-সহ মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় পুলিশের অনুমান, সে চুরি করতেই ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। তার পরে কিশোরীর সামনে ধরা পড়ে যাওয়ায় তাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করেছিল।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পশ্চিম দিল্লির বাড়িতে মেয়েটি একা ছিল। বাবা ও মা দু’জনেই কাজে বেরিয়েছিল। সেই সময়ে অজ্ঞাতপরিচয় যুবক ঢুকে আসে বাড়িতে। তাকে সামনে দেখতে পেয়েই আচমকা আক্রমণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। হাতে, মুখে, মাথায় কোপাতে থাকে এলোপাথাড়ি।
পুলিশ অনুমান করছে, ওই অবস্থাতেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ৩৩ বছরের যুবক। তারপরে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই খবর দেন বাবা-মাকে। এরপর পুলিশ আসে। প্রথমে কিশোরীকে সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রক্তপাত না হওয়ায় পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় এইমসে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্ত কিশোরীর ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি বলেছেন, “মেয়েটির জ্ঞান ফেরেনি। একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার।“