হাথরাস: হাথরাসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ বৃহস্পতিবার ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারী কর্তারা জানিয়েছেন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সকলে সৎসঙ্গ পরিচালনার সাথে জড়িত আয়োজক কমিটির সদস্য।
মঙ্গলবারের ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে ১২৩ জনের মৃত্যু হয়. বুধবারেই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হয় কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে করেন টিম. নির্দেশ দেন উচ্চ্ পর্যায়ের তদন্তের। দায়ের করা হয় এফআইর। তবে সেখানে নাম ছিল না হাথরাসের মূল প্রচারক নারায়ণ সাকার হরি বা ‘ভোলে বাবা’র। তার দ্বারা পরিচালিত সৎসঙ্গেই ১২৩ জনের মৃত্যু হয় যাদের বেশিরভাগই মহিলা। ঘটনায় ৩১ জন আহত হয়। ওই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্তে থাকা আলিগড় ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর বলেছেন, “এই ঘটনায় চারজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সকলেই আয়োজক কমিটির সদস্য এবং ‘সেবাদার’ হিসাবে কাজ করেছিলেন।” পুলিশ জানিয়েছে যে, অভিযুক্তরা ভিড় সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করে। তারা স্বাধীনভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করে এবং প্রশাসনকে এই কাজটি পরিচালনা করতে দেয় না। ‘মুখ্য সেবাদার’ দেব প্রকাশ মধুকরকে এফআইআর-এ প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মধুকরকে গ্রেফতারের জন্য তথ্য দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলেই ঘোষণা করেছে পুলিশ। পুলিশ সক্রিয়ভাবে মধুকরের গ্রেপ্তারের জন্য আদালত থেকে একটি জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট (NBW) চেয়েছে।
প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ ‘ভোলে বাবা’কেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, যার নাম এফআইআর-এ নেই কিন্তু তদন্ত চলছে। পুলিশ নারায়ণ সাকার হরির পটভূমি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল, ভোলে বাবার নাম অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে এমন শহরে দল পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের জন্য ৮০ লোকের অনুমতি দিলেও ২.৫ লক্ষেরও বেশি লোক ধর্মীয় সভায় উপস্থিত হয়েছিল। এফআইআর-এ আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে সৎসঙ্গের আয়োজকরা প্রমাণ গোপন করে এবং আশেপাশের মাঠে গডম্যানের অনুগামীদের চপ্পল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র লুকিয়ে দিয়ে অনুষ্ঠানে প্রকৃত সংখ্যা লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন। এই কথা মেনে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।