পাটনা: একের পর এক ভেঙে পড়ছে ব্রিজ। বিহার বুধবার আরও তিনটি সেতু ভেঙে পড়ার সাক্ষী থেকেছে। গত ১৫ দিনের মধ্যে বৃষ্টি প্রভাবিত রাজ্যে এই ধরনের নবম ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। পর পর এই বৃষ ভেঙে যাওয়া নিয়ে সরকারের দিকে আঙুল উঠেছে।
জানা গিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ৩০ থেকে ৪০ বছর আগে তৈরি করা তিনটি কাঠামো সারান এবং সিওয়ান জেলায় দিনের বেলায় পড়ে পড়ে। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে। বারবার কেন এই ঘটনা ঘটছে টা নিয়েই বিরোধী সহ সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছে। বিরোধী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব অবশ্য অভিযোগ করেছেন যে একদিনে চারটি সেতু ভেঙে পড়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভা নীরব রয়েছে। পর পর এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সড়ক নির্মাণ বিভাগ (RCD) এবং গ্রামীণ পূর্ত বিভাগকে (RWD) নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত পুরানো সেতুগুলির একটি সমীক্ষা চালাতে এবং যেগুলিকে অবিলম্বে মেরামতের প্রয়োজন তাদের চিহ্নিত করতে।গত ১৫ দিনের মধ্যে মধুবনী, আরারিয়া, পূর্ব চম্পারণ এবং কিষাণগঞ্জের মতো বিভিন্ন জেলায় মোট নয়টি সেতু ভেঙে পড়েছে।
অতিরিক্ত মুখ্য সচিব চৈতন্য প্রসাদ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “বুধবার সিওয়ান এবং সরণে যে সেতু/কজওয়েগুলি ভেঙে পড়েছিল তার কিছু অংশ খুব পুরানো। এই কাঠামোগুলি প্রয়োজনীয় প্যারামিটারগুলি অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হয় না। এটাও মনে হয় যে ভিত্তিটি যথেষ্ট গভীর ছিল না, একটি কারণ বন্যার সময় এই কাঠামোগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।” জানা গিয়েছে, প্রথমে সিওয়ান জেলার দেওরিয়া ব্লকে গণ্ডকী নদীর উপর একটি ছোট সেতুর একটি অংশ ভোর ৫টা নাগাদ ভেঙে পড়ে। পরে ওই জেলার তেঘরা ব্লকে আরেকটি ছোট সেতুরও একই পরিণতি হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমান সামির জানিয়েছেন, সরানে আরও দুটি ছোট সেতু ভেঙে পড়েছে। তিনি বলেছেন, “জনতা বাজার এলাকায় একটি ছোট সেতু যেটি ভেঙে পড়েছিল তার বয়স ১০০ বছর। আরেকটি যেটি ভেঙে পড়েছিল সেটি লাহলাদপুর এলাকায় অবস্থিত এবং এটি ২৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” স্থানীয় মানুষ বলছেন গত কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টির জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। গত ১৫ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেতু ভেঙে পড়ার ১০ টিরও বেশি খবর পাওয়া গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা একটি বিবৃতি অনুসারে, কুমার বিভাগীয় প্রধানদের দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।