
ইসলামাবাদ: তবে কি শ্রীলঙ্কার রিফ্লেকশন হতে চলেছে পাকিস্তানে? আর্থিক সংকটে ডুবছে ইসলামাবাদ? এমনই হাজারও প্রশ্ন উঠে আসছে সামনে৷ কারণ, মুখ থুবড়ে পড়া পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও তলানিতে ঠেকতে চলেছে৷ যার জেরে আগামীদিনে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল৷
পাকিস্তানের জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বোর্ডের (NITB) তরফে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানানো হয়েছে, দেশব্যাপী দীর্ঘ সময়ের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তাই আপাতত নেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে৷ ঘটনাচক্রে এদিনই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আশঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, চলতি মাসে (জুলাই) লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে। স্বাভাবিকভাবে, লোডশেডিং বাড়া মানে সর্বক্ষেত্রে উৎপাদন কমে যাওয়া৷ যার নিট ফল, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে৷
স্বভাবতই পুরো ঘটনাক্রম দেখে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের অভিমত, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে আগামীদিনে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নেমে আসতে পারে৷ সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, টানা লোডশেডিং, উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জোর ধাক্কা খেয়েছে পণ্য উৎপাদন ও রফতানি শিল্পষ এমনিতেই করোনাত্তর পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি অনেকখানি ভেঙে পড়েছিল৷ ক্রমেই ঋণের ভারে জর্জরিত ছিল সরকার৷ লোডশেডিংয়ের দাপট, উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আর্থিক সঙ্কট আরও বেড়েছে৷ টান ধরেছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডারে। খাবার থেকে ওষুধ সবকিছুরই দাম ভয়ানক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফ ঋণ দিতে রাজি থাকলেও তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, বিলাসিতা কমাতে হবে৷ খরচে রাশ টেনে সরকার আয় বাড়ানোর পথ তৈরি করুক৷ নিশ্চয়ই ঋণ দেওয়া হবে৷
আরও পড়ুন: নোংরা রাজনীতির ছোঁয়া থেকে রেহাই পেলেন না বিধান রায়ও