খাস ডেস্ক: মানব শরীরে উপকারি ভিটামিনগুলির মধ্যে একটি হল ভিটামিন ডি। যার অভাব দেখা দিলে মানব শরীরে হতে পারে বিভিন্ন রকমের রোগ। এই ভিটামিন ডি-এর অভাবে যেমন হতে পারে হাড়ের ক্ষয়, তেমনই আবার এর অভাবে কমতে পারে শিশুর রোগ প্রতিরোধকারী শক্তিও। যদিও নবজাতকেরা মাতৃ দুগ্ধ থেকেই পেতে পারে ভিটামিন ডি (Vitamin D)। তাই শিশুরা একটু বড়ো হলে দেখা দিতে পারে ভিটামিন ডি-এর অভাব।
এক পুষ্টিবিদ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “এখনকার শিশুরা বাইরে বেরিয়ে খেলাধূলা করে না। তাই দেহে রোদও লাগে না। এই কারণে বাড়ন্ত শিশুদেরই ভিটামিন ডি-এর অভাব হয় বেশি। এই ঘাটতি মেটাতে প্রথমেই ওষুধের ওপর ভরসা করা ঠিক নয়। তার থেকে খাওয়া দাওয়ায় নজর দিলে তা বেশি ভালো। বাবা-মায়েদের রোজ এমন খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে, যাতে তাদের শরীরে ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর চাহিদা অনেকটাই কমে যায়।”
শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিলে হতে পারে নানা রকমের রোগ। এই ব্যাপারে এক পুষ্টিবিদ বলেছেন, “ভিটামিন ডি (Vitamin D)-এর অভাব হলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাবে। পাশাপাশি পড়তে পারে মানসিক প্রভাবও। এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে শিশু অমনোযোগী হয়ে পড়বে, মেজাজ হয়ে যাবে খিটখিটে। ছোট থেকেই অবসাদে ভুগবে শিশু। প্রচণ্ড ক্লান্তি, ঝিমুনি ভাব আসতে পারে।”
সূর্যালোক থেকে সহজেই পাওয়া যায় ভিটামিন ডি। এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে খেতে হয় মাছ, দুধের মতো প্রোটিন জাতীয় খাবার। সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন ডি বেশি পরিমাণে থাকে। তবে ছোট মাছ যেমন মৌরলাতেও আছে ভিটামিন ডি। ইলিশ মাছেও আছে প্রচুর ভিটামিন ডি। লটে মাছ, এই মাছেও প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন ডি (Vitamin D)। এছাড়া ডিম (Egg), দুধ (Milk), দুগ্ধ জাতীয় যেকোনো খাবারে থাকে ভিটামিন ডি।
এক পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, মাংসের মেটে, মাছের ডিমে ভিটামিন ডি (Vitamin D) থাকে। তবে নিরামিষ খাবারে ভিটামিন ডি কম মাত্রায় থাকে। কোনো শিশু যদি নিরামিষ খাবার পছন্দ করে, তা হলে সেক্ষেত্রে তাঁকে বিভিন্ন রকম বাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। তবে আখরোট, বাদাম এই খাবারগুলি পরিমাণ মতো খাওয়া উচিৎ। যেমন আখরোট দিনে ২ টো, কাঠবাদাম দিনে ৪-৫ টি। মাশরুমে ভিটামিন ডি থাকে। তাই মাশরুমের স্যুপ খাওয়ানো যেতে পারে শিশুকে।