কলকাতা: আরজিকরের ঘটনা নিয়ে আজ বুধবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘আমি হতাশ এবং আতঙ্কিত, যথেষ্ট হয়েছে,’ বলেছেন রাষ্ট্রপতি। তারপরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল আরজিকর ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর মন্তব্যের সমালোচনা করেছে। সেই সময় অন্যান্য রাজ্যে ঘটে যাওয়া অনুরূপ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এক্স হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রপতির মন্তব্য নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ।
কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রপতির মন্তব্য প্রসঙ্গে লিখেছেন, “আমি আরজি কর ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির কথা শুনেছি। আমি তাকে সম্মান করি। উন্নাও, হাতরাস, বিলকিস, মণিপুর আপনার হৃদয়কে নাড়া দেয়নি? আপনি কি ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড দেখেননি? কেন আপনি বিক্ষোভের সময় নীরব ছিলেন? সাক্ষী মালেখের মতো সোনার মেয়েরা কি বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলা কঠিন?” তবে শুধু কুণাল নয় বাংলা ছাড়াও বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কেন বিজেপি মুখ খোলেনি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ”যারা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছে, বলে রাখি NCRB তথ্য বলছে, যাদের রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা সবথেকে বেশি হয়েছে, সেখানে উত্তরপ্রদেশ প্রথম, তার পর মধ্যপ্রদেশে, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কারা? ডবল ইঞ্জিন সরকার। পারলে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করবেন, তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলবেন। তাঁরা বলছেন, দাবি এক দফা এক/ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। আমি বলি, দাবি এক দফা এক/ ধর্ষণ বিরোধী আইন।”
উল্লেখ্য, এদিন রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, “কলকাতায় একজন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ন্যাক্কারজনক ঘটনা জাতিকে হতবাক করেছে। আমি যখন এটি শুনেছিলাম তখন আমি হতাশ এবং আতঙ্কিত হয়েছিলাম। এর চেয়ে হতাশার বিষয় হল যে এটি তার ধরণের একমাত্র ঘটনা ছিল না; এটি নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের একটি অংশ, এমনকি যখন কলকাতায় ছাত্ররা, ডাক্তার এবং নাগরিকরা প্রতিবাদ করছিলেন, তখনও ভুক্তভোগীদের মধ্যে কিন্ডারগার্টেনের মেয়েরাও রয়েছে নৃশংসতা জাতি বিক্ষুব্ধ হতে বাধ্য, এবং আমি তাই