কলকাতা: আজ বাংলার চার কেন্দ্র সহ দেশের ১৩ টি কেন্দ্রেরর উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে। সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে গনণা। কলকাতার মানিকলতা বাদে ২০২১-এর নির্বাচনে বাকি তিন কেন্দ্র ছিল বিজেপির দখলে। কিন্তু বাগদা, রায়গঞ্জ এবং রাণাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থীরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। যার কারণেই এই উপনির্বাচন। সকাল থেকেই রয়েছে টানটান উত্তেজনে। উপনির্বাচনেও কি বইবে সবুজ ঝড় নাকি বিজেপি নিজেদের আসন ধরে রাখতে পারবে তার উত্তর মিলবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী ৬ রাউন্ড ভোটগণনা শেষে ৩১ হাজার ২৮৭ ভোটে এগিয়ে। পঞ্চম রাউন্ড শেষে বাগদার তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর ১২ হাজার ভোটে এগিয়ে । অন্যদিকে তৃতীয় রাউন্ড গণনা শেষে মানিকলতার তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে এগিয়ে রয়েছেন ১৩,১৪৮ ভোটে । রাণাঘাট দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী ৮৫৩৭ ভোটে এগিয়ে। অর্থাৎ সমস্ত কেন্দ্রেই এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে ফলপ্রকাশের আগেই মানিকতলার প্রার্থীকে সুপ্তি পাণ্ডেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্তি পান্ডেকে রেকর্ড জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষকে অভিনন্দন। দলের প্রচার ও কর্মপদ্ধতিতে সাড়া দিয়েছেন মানুষ। কর্মী, সমর্থকদের পরিশ্রম সার্থক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। সাধনদাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।”
চার কেন্দ্রে জয় নিয়ে আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল তৃণমূল। যদিও এখনও ফল প্রকাশ হয়নি তবে প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরাই। ১০ জুলাই ভোটের দিন রাজ্যজুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গয়েছিল। মানিকতলায় বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ৮০টির বেশী বুথে পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল। তবে সেই দাবি মানেনি কমিশন। কিছু জায়গা থেকে অশান্তির খবর মিলেছিল। এই নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে বলেন, “৫০টি ছেলে থাকলে ২ জন দুষ্টুমি করেছে। ভোটের দিন বাচ্চা ছেলেরা ভুল করেছিল। তাঁদের আমি বকেছি। কান মুলে দিয়েছি।”