কলকাতা: আরজিকর মামলা(R.G Kar Hospital case) নিয়ে তৎপর হয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই সিবিআই দফতরে ৪র্থ বার হাজির হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। চলছে জোরকদমে জিজ্ঞাসাবাদ। এর মধ্যেই আসছে বড় খবর। আরজিকর মামলায় নিযুক্ত করা হল মহিলা এসপি পদমর্যাদার অফিসারকে।
২০২০ সালে হাথরাসে গণধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পদমর্যাদা এসপি নিযুক্ত হয়েছিল। সেই পদ্ধতিতেই আরজিকর ঘটনায় নিযুক্ত করা হল মহিলা এসপিকে। ওখানেও এই মহিলা একা ছিলেন গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায়। ঠিক তেমনি আরজিকরের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তাঁকে নিযুক্ত করা হল।
খাস খবরের সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তিনি ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছেন। আরজিকর যে সেমিনার হলে গোটা ঘটনা ঘটেছে সেখানে গিয়ে পরিদর্শনও করবেন তিনি। পরে সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতেও যাবেন তিনি। যাতে তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে হয় সেই কারণেই নিযুক্ত করা হল মহিলা এসপিকে।
ইতিমধ্যেই এই মামলায় তিনজন তদন্তকারী আধিকারিককে নিযুক্ত করা আছে। তাদের মধ্যে দুজন মহিলা একজন কলকাতার অফিসার।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরে মোট ২৪টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রিপোর্ট বলছে তাঁর গলার হাড় ভাঙা। অর্থাৎ থাইরয়েড কার্টিলেজ, হাইওয়েড বোন ভাঙা ছিল। হাড়েও ছিল রক্তপাতের চিহ্ন। এবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘তরুণীর যৌনাঙ্গে জোর করে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত নথি মিলেছে, যা যৌন নিপীড়নের ইঙ্গিতবাহী।’
তবে যাঁকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনিই সত্যিকারের অভিযুক্ত কি না, তা জানার জন্য বেশ কিছু ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গোপনাঙ্গে পাওয়া শুক্রাণু, কামড়ের ক্ষত থেকে পাওয়া লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলে অপরাধীকে চিহ্নিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।