Home Breaking News ভাঙছে না বামফ্রন্ট, ফব-র বিদ্রোহের সামনে মাথা নত করল সিপিএম

ভাঙছে না বামফ্রন্ট, ফব-র বিদ্রোহের সামনে মাথা নত করল সিপিএম

আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার পর ‘জল’ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়৷ আপাতত সেদিকেই নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

0

কলকাতা: শেষ কবে এমনটা হয়েছে মনে করতে পারছেন না অতি বড় বাম সমর্থকও৷ ছোট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের দাবির কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হল বড় শরিক সিপিএম৷ ফলে এখনই বামফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসছে না ফরওয়ার্ড ব্লক৷ তবে জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে বামফ্রন্টের আনুষ্ঠানিকভাবে জোট বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে৷

আরও পড়ুন:  মুকুলের দলে ফেরার প্রসঙ্গে ‘সাবধানী’ মদনের মুখে ধর্মের কথা

ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছিলাম, বামফ্রন্টের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখা না হলে আমরা বাধ্য হব ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যেতে৷ কারণ, একটা সাম্প্রদায়িক দল এবং আরেকটা মুক্ত অর্থনৈতিক দলের সঙ্গে আর যাই হোক, বামফ্রন্ট একসঙ্গে পথ চলতে পারে না৷ আমরা আমাদের সেই মতটাই জানিয়েছিলাম বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে৷’’

আরও পড়ুন: মুকুলের বিরুদ্ধে ওঠা সম্মানহানিকর অভিযোগের সামনে দাঁড়িয়েও শুভ্রাংশু নীরব কেন, উঠছে প্রশ্ন

নরেনবাবুর দাবি, ‘‘বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বামফ্রন্ট বামফ্রন্টের মতোই চলবে৷’’ তাহলে কি কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে আর জোট থাকছে না? নরেনবাবুর দাবি, ‘‘আমাদের আপত্তি তো সেটা নিয়েই ছিল৷ সেই আপত্তি মেনে বলা হয়েছে, বামফ্রন্ট বামফ্রন্টেই থাকবে৷ ফলে যদির কথায় আমরা এখনই যাচ্ছি না৷ পরিস্থিতির ওপর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে৷’’

আরও পড়ুন: ‘ঘরের ছেলে’ মুকুলের পাশে থেকে মিডিয়াকে কড়া বার্তা মমতার

প্রসঙ্গত, চৌত্রিশ বছর রাজ্য শাসনের মাত্র ১০ বছরের মাথায় রাজ্য থেকেই কার্যত মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বামফ্রন্ট৷ এবারের নির্বাচনে পুরনো সঙ্গী কংগ্রেসের পাশাপাশি বামফ্রন্ট জোট করেছিল আইএসএফের সঙ্গেও৷ ফল প্রকাশ হতে দেখা যায়, ঝুলি শূন্য৷ ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চেই তাঁরা প্রথম জানতে পারেন, যে জোটে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আইএসএফ৷

একাধিক কারণে দীর্ধদিন ধরেই বড় শরিকের ওপরে ক্ষিপ্ত অন্য শরিকেরা৷ তবে ফব-র তরফে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর যেভাবে বড় শরিক পিছু হঠল, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এখন দেখার, আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার পর ‘জল’ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়৷ আপাতত সেদিকেই নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

Exit mobile version