কলকাতা: আরজিকর কাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক প্রশ্ন। এদিন হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় আরজিকরের নির্যাতিতার পরিবার। আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চায় পরিবার। কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। এবার প্রধান বিচারপতির প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হল রাজ্যকে। মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা কীভাবে বলা হল? জানতে চান প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, ডাক্তারদের কথা শুনতে হবে।
মৃতার পরিবার অভিযোগ করে, “আমার মেয়ে মারা গিয়েছে অনেক পরে। প্রথমে বলে আত্মহত্যা করেছে। আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। ৩ ঘণ্টা আমাদের মেয়েকে দেখতে দেয়নি।” পরিবারের এই দাবি মেনে তাঁদের আবেদন গ্রহণ করে আদালত। পরিবারের দাবি মেনে বিকাশবাবু আদালতকে জানান যে, পরিবারের কাছে একটা ফোন আসে। বলা হয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। যার প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “এটা ঠিক, কেউ বলেছে পরিবারকে যে মেয়েকে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু মৃত্যুর কারণ আত্নহত্যা কীভাবে বলা হল?” যার জবাবে রাজ্যের তরফে বলা হয়, “এটা কে বলেছে জানি না। আমিও শুনেছি। তবে পুলিশ বলেনি। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছে সেটা আমাদের দেওয়া হোক।”
আরজিকর কাণ্ডে এদিন আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্যদল ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, মৃতের শরীরে অনেক জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। অর্ধনগ্ন দেহ ছিল। সেখানে একটা অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা করে আত্মহত্যা বলা হচ্ছিল। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সিবিআই-কে দেওয়া উচিত। সিভিক পুলিশের পক্ষে এটা একা করা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, অধ্যক্ষের অ্যাপয়েন্টমেন্টের চিঠি এবং পদত্যাগের চিঠি আজকের মধ্যে জমা দিতে হবে। তিনি পদত্যাগ পত্রে কী লিখেছেন তা দেখা দরকার। আদালতের কাছে কেস ডায়েরিও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির।