কলকাতা: দেশভাগ এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলে বহু বাঙালি শরণার্থী হিন্দু তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তান ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি। মরিচঝাঁপি হত্যাকাণ্ড। বাঙালি জাতির জীবনে এক কালো অধ্যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগের চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে মরিচঝাঁপি হত্যাকাণ্ড। এবার সেই মরিচঝাঁপি কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করে বঙ্গ রাজনীতির লড়াইয়ে নামতে চলেছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ Australian Open 2022: ক্রিকেট ও টেনিস পারদর্শী, চ্যাম্পিয়ন অ্যাশলে বার্টি
জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার সুন্দরবনের উদ্বাস্তু এলাকায় যাচ্ছে বিজেপির তফসিলি মোর্চার প্রতিনিধিদল। সেখানে সর্ববৃহত্ তফসিলি গণহত্যা বলে উল্লেখ করে ৩১ তারিখ মরিচঝাঁপি যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে। ‘বিজেপি তফসিলি মোর্চার ডাকে মরিচঝাঁপি চলো’ এই মর্মে ব্যানার ছাপা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি, জে পি নাড্ডা ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পলের ছবি রয়েছে সেই ব্যানারে।
আরও পড়ুনঃ রাবণ নিজে থেকেই চেয়েছিলেন রামের হাতে মরতে, জেনে নিন কারণ
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য মরিচঝাঁপি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা আমাদের মৌলিক রাজনৈতিক অবস্থান, উদ্বাস্তুদের অধিকার, নাগরিকত্ব দেওয়া।’ শুধু সুন্দরবনই নয়, তফসিলি ভোট একত্রিত করতে বিজেপি জেলায় জেলায় অভিযানে নামছে। মরিচঝাঁপি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলে জেলায় বিজেপি তফসিলি মোর্চার অবস্থান বিক্ষোভে থাকার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
সালটা ১৯৭৯। জানুয়ারি মাস। সেসময় বাংলার শাসনক্ষমতা বামফ্রন্টের হাতে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা প্রদেশও দুভাগে ভাগ হয়ে যায়। তখন পূর্ববঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও নানা নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আসতে শুরু করে। সুন্দরবনের এই দ্বীপে বসতি স্থাপন করে। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশে পুলিশি অভিযানে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় বহু উদ্বাস্তুর। তবে এই ঘটনায় কেউ পাশে না থকালেও তত্কালীন কেন্দ্রীয় সরকারও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিল।