কলকাতা: জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অপরাধে সাসপেন্ড করা হয়েছিল প্যান্টালুনসের ২৭ জন কর্মীকে৷ প্রতিবাদে বিক্ষোভে বসে পড়েন সহকর্মীরা৷ বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে শোরগোল পড়ে যায়৷ এরপরই চাপে পড়ে প্যান্টালুনস কর্তৃপক্ষ৷ জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া সব কর্মীকে আবার কাজে ফিরিয়ে নিয়েছে সংস্থাটি৷ ইতিমধ্যে ১৭ জন কাজে যোগ দিয়েছেন৷ বাকি ১০ জনকেও তাড়াতাড়ি কাজে যোগ করানো হবে বলে জানা গিয়েছে৷
কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্যান্টালুনসের অনেক বিপণি আছে৷ জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিপণির ২৫ জন কর্মীকে বরখাস্ত করে প্যান্টালুনস৷ এরপরই ধর্নায় বসে পড়েন অন্যান্য কর্মীরা৷ কর্মীদের সঙ্গে ধর্নায় যোগ দেয় তাঁদের পরিবারের লোকেরাও। হাতে ছোট প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে পড়েন। যেখানে লেখা, ‘প্যান্টালুনসের কর্মীরা কর্তৃপক্ষের থেকে বিচার চায়।’
ঘটনার শুরু হয়, হাওড়ার আভনি মলের প্যান্টালুনসের কর্মী মনোজ বাঙাল নামে এক কর্মীকে শোকজের পর। মনোজের ঘটনা কর্মীদের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি৷ ক্রমেই তা বড় আকার নেয়। গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিনে শপিং মলের ভিতরে প্রথামাফিক ইংরেজি গানের বদলে দেশাত্মবোধক গান বাজানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মনোজ। কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেননি সেই স্টোর ম্যানেজার। কর্তার ইচ্ছায় কর্ম করেননি। অভিযোগ সেই জন্যেই শোকজ করা হয় মনোজকে। পালটা দাবি করা হয় যে স্টোর ম্যানেজারকে হুমকি দিয়েছেন মনোজ।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখে শোকজ করা হয়েছিল মনোজকে। পরে সাসপেন্ড করা হয়। মনোজের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের কুনজরে পড়তে হয় আরও অনেক কর্মীকে। নানাবিধ অজুহাতে ক্রমশ চলতে থাকে শোকজ ও সাসপেন্ড। কেবলমাত্র ক্যামাক স্ট্রিট নয়, শহরের অনেক জায়গাতেই প্যান্টালুনসের কর্মীদের সঙ্গে ঘটেছে এই দুর্ব্যবহার।
ক্যামাক স্ট্রিটে অবস্থিত প্যান্টালুনসের দুই মহিলাকর্মীকে সাসপেন্ড করা নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। সেই ঘটনার পরেই শুরু হয় প্রতিবাদ। যে সকল কর্মীদের কর্তৃপক্ষ শোকজ বা সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁরা সকলেই ডেপুটেশন দিতে যায় ওই ক্যামাক স্ট্রিটের শপিং মলে। সেখানেই শুরু হয় ধর্না। আন্দোলনকারী কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও যোগ দেয় সেই ধর্নায়।