কলকাতা: বিধানসভা ভোটের মুখে শিবির বদল চলছেই। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে মন্ত্রী শশী পাঁজার হাত থেকে শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়ে বিজেপির কড়া নিন্দা করেন সুভদ্রা। গেরুয়া শিবিরকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলেও আক্রমণ করেন অভিনেত্রী।
সুভদ্রা বলেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশে মোহভঙ্গ হয়েছে। মনুষ্যত্ব যাদের আছে তাঁরা বিজেপি ছেড়ে দেবেন। দিদির পাশেই সবার দাঁড়ানো উচিত। বিজেপির মতো ফ্যাসিস্ট দলকে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হারাতে পারেন বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে। উত্তরপ্রেদেশের মতো তৈরি করতে চাই না। আমরা জমি ছাড়়ব না। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। আপনার বাড়িতে কী খাবার খাবেন, তা নিয়ে অন্য কারও কোনও মাথা ব্যথা হবে বলেও প্রশ্ন তুলে নিজেপিকে কটাক্ষ করেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
‘দলবদলু’দেরও বিঁধে অভিনেত্রী বলেন, যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁরা খুব ভালো করছেন। আরও আগে করলে ভাল করতেন। অন্তত দুষ্টু গরুগুলো বেরিয়ে যেত। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। ভাষাকে বাঁচাতে হবে। বিজেপি এলে বাংলা ভাষা বলে কিছু আর থাকবে না!
এদিন সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সিও তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল ভবনে সাংসদ সৌগত রায়ের হাত থেকে শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। অদিতি বলেন, তৃণমূলের একজন সদস্য হতে পেরে খুব ভাল লাগছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যোগ্য মনে করায় কৃতজ্ঞ। মমতাই বাংলার নতুন রূপকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে কাজ করব।
পরিচালক ধীরজ পণ্ডিতও এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন। মুম্বই থেকে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগদেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এবার তৃণমূলের বহু বিধায়কেরই টিকিট কাটা যেতে পারে৷ বদলে টিকিট পেতে পারেন নতুন মুখ৷ তালিকায় থাকতে পারেন রুপোলি পর্দার শিল্পীরাও৷ সেকারণেই ভোটের মুখে বিনোদন জগত থেকে রাজনৈতিক জগতে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী।