কলকাতা: আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদে আজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হাওড়া ও কলকাতা জুড়ে। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই উত্তাপ বাড়তে থাকে। এই আবহেই এবার বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গেই দাবি করেছেন নির্বাচনেরও।
এদিনের ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আমি অনুরোধ করছি। বাকিটা আমরা দেখছি। আমরা মমতার পদত্যাগ চাই। এই আন্দোলন একদিনের নয়। কর্মসূচি আরও হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগে বাধ্য করব। এবং পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হোক আমরা চাইব।” রাজ্যের বিরোধীদলনেতা পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “পুলিশকে আমি আবার বলব হেস্টিংস ও এমজি রোডে পুলিশ যেভাবে ধরপাকড় করছে বন্ধ করুন। আপনারা সামলাতে পারবেন না। সাঁতরাগাছির জনতাকে ভিডিয়ো কল করে অনুরোধ করেছি সাধারণ পুলিশ কর্মী এবং ছাত্র সমাজ সহ নিরীহ জনগণ তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশের জল কামানের জল শেষ। গ্যাস শেষ। তাঁরা বাধ্য হত গুলি করতে। এই পরিস্থিতিতে আমি সাঁতরাগাছির জনতাকে ভিডিয়ো কল করে অনুরোধ করেছি, যে সাধারণ নিচের তলার পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। তাঁদেরও স্ত্রী আছে, মা আছে, বোন আছে। আমরা চাই না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব কুমারদের ভুল পলিসির জন্য তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।”
শুভেন্দুর কথায়, “পুলিশ অসহায়। ছাত্র সমাজের ডাকে সাধারণ মানুষ পথে নেমেছেন। সরাসরি এখানে রাজনৈতিক দলের যোগ ছিল না। সাধারণ মানুষের এটি একটি সফল কার্যক্রম। তবে পুলিশের উস্কানি ছিল। তাঁরা প্রচুর মানুষকে মারধর করেছেন। পুলিশের জল কামানের জল শেষ। টিয়ার গ্যাসের গ্যাস শেষ। অসহায় অবস্থা পুলিশের। ” উল্লেখ্য, আজ হাওড়া ব্রিজ, সাঁতরাগাছিতে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে। হেস্টিংস, রেড রোড এবং এম জি রোডে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। সবমিলিয়ে আজ মহানগর জুড়ে সারাদিনই উত্তাপ বজায় ছিল।