
পলাশ নস্কর, কলকাতা: আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল আসানসোলের নিহত কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাঁর৷ তার ঠিক আগেই যেভাবে শক্তিগড়ের জাতীয় সড়কে ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হল, তাতে ঘটনার নেপথ্যে বড় ঘটনা থাকতে পারে বলেই মনে করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷ দিলীপের কথায়, ‘‘রাজু ঝাঁকে ইডি জেরা করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসতে পারে৷ সেই জন্য হয়তো তার মুখ বন্ধ করা হল৷ বড় চক্রান্তের অংশ হবে এটা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত৷’’
রবিবার সকালে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাত:ভ্রমণে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। বলেন, ‘‘রাজু ঝাঁ নির্বাচনের আগে আমাদের পার্টিতে যোগদান করেছিল। এখন সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বোম বন্দুকের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কারো জীবনে কোনও সুরক্ষা নেই। সে একজন বড় ব্যবসায়ী বটে। যেভাবে হাইওয়ের উপরে তাকে খুন করা হয়েছে পশ্চিমবাংলার আইন শৃঙ্খলা কোথায় যাচ্ছে সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে যাচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবের সামনে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে সাদা গাড়িটিতে চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু৷ তখনই কলকাতামুখী লেনে থাকা একটি নীল রঙের গাড়ি থেকে ছুটে আসে একাধিক গুলি৷ তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু৷ তৎক্ষণাৎ তাঁকে বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলেন ঘোষণা করেন৷ ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট নীল রঙের গাড়িটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷
যদিও দিলীপের দাবি, ‘‘ নীল বাতি গাড়ি করে আততায়ীরা এসে গুলি চালিয়েছে রাজু ঝাঁকে৷’’ বলেছেন, ‘‘ এত ধরনের গুন্ডা, মাফিয়া পশ্চিমবাংলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যত রকমের অপরাধ। সেই অপরাধের পেছনে বড় বড় টাকার অ্যামাউন্ট এর ব্যাপার আছে৷ গরু পাচার, বালি পাচার, পাথর পাচার থেকে শুরু করে সরকারি দফতরে যে ধরণের দুর্নীতি হয়েছে অনেক বড় বড় টাকার লেনদেন, বহু লোক যুক্ত৷ এর ফলে সমাজে অপরাধীকরন হয়েছে। তার পরিণাম দেখতে পাচ্ছি৷’’
প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘না হলে নীল বাতি গাড়ি কি করে পায় অপরাধীরা?’’ দাবি করেছেন, ‘‘ঘটনার নেপথ্যে বড় বড় অপরাধীরা যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে৷ এর তদন্ত করা দরকার আছে। এতে যে বড় বড় তদন্ত গুলো চলছে তার সঙ্গে কোথাও না কোথাও যুক্ত আছে এই ঘটনা৷’’
আরও পড়ুন: না ফেরার দেশে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামী প্রভানন্দ মহারাজ